একসঙ্গে ৫ ক্রিকেটার এ বারের রঞ্জি ট্রফি চলাকালীন ঘরোয়া ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। যার পর থেকে ক্রিকেট মহল বলছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে এক স্বর্ণযুগের অবসান হল। এই ৫ ক্রিকেটার মোট ৫১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তা হলে ভেবে দেখুন কী পরিস্থিতি! ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করলে জাতীয় দলের দরজা খোলে। এই তত্ত্ব এখনও মানা হয়। কিন্তু এই ৫ ক্রিকেটারের প্রতি কি সুবিচার হয়েছে? প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের অনুরাগীরা।
 

পর পর ৫, কেন জাতীয় দলে খেলা বরুণ, ধবলরা অবসর নিচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে?
পর পর ৫, কেন জাতীয় দলে খেলা বরুণ, ধবলরা অবসর নিচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে?

কলকাতা: বয়সের গণ্ডি খেলার ইচ্ছে দমিয়ে দিতে পারে না। ইচ্ছেশক্তি আর ফিটনেসের জেরে অনেকেই মহেন্দ্র সিং ধোনি, জেমস অ্যান্ডারসনের মতো চল্লিশের কোঠা পেরিয়েও দাপিয়ে খেলেন। আবার অনেক ক্রিকেটার এমনও রয়েছেন যাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটের গণ্ডিতেই আটকে থেকে যান। জাতীয় দলের দরজা মাঝে মাঝে তাঁদের জন্য খুললেও কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হয় না। সময় পেরিয়ে যায়, আর জাতীয় দলে (Team India) ধারাবাহিক সুযোগ পান না তাঁরা। যে কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়ে অবসরের পথ বেছে নেন। ৩৪-৩৫ বছরেই ক্রিকেটকে বিদায় জানানো ক্রিকেটারদের তালিকাটাও নেহাতই কম নয়। চলতি রঞ্জি (Ranji Trophy) মরসুমে এমন ৫ ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁরা অবসর ঘোষণা করেছেন।

মনোজ তিওয়ারি, সৌরভ তিওয়ারি, ধবল কুলকার্নি, ফৈয়জ ফয়জল ও বরুণ অ্যারন এই ৫ ক্রিকেটার এ বারের রঞ্জি ট্রফি চলাকালীন ঘরোয়া ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। যার পর থেকে ক্রিকেট মহল বলছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে এক স্বর্ণযুগের অবসান হল। এই ৫ ক্রিকেটার মোট ৫১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তা হলে ভেবে দেখুন কী পরিস্থিতি! ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করলে জাতীয় দলের দরজা খোলে। এই তত্ত্ব এখনও মানা হয়। কিন্তু এই ৫ ক্রিকেটারের প্রতি কি সুবিচার হয়েছে? প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের অনুরাগীরা।

ঘরোয়া ক্রিকেটে ছাপ রেখে গিয়েছেন এই ৫ ক্রিকেটার। কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় এ বার ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তাঁরা। এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগের জমানা। এই ক্রিকেটাররা এ বার হয়তো উন্মুক্ত চন্দের মতো বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পারফর্ম করতেও পারেন। ভারতকে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জেতানো ক্যাপ্টেন উন্মুক্ত চন্দ যেমন দেশে সুযোগ না পেয়ে পাকাপাকি বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। সেই পথে ধবল-বরুণরা হাঁটলে অবাক হওয়ার থাকবে না।

এক ঝলকে ফিরে দেখা এই ৫ ক্রিকেটারের ক্রিকেট কেরিয়ার —

মনোজ তিওয়ারির বয়স ৩৮ বছর। দেশের হয়ে খেলেছেন ১২টি ওডিআই এবং ৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছিলেন। বাংলার হয়ে ১৪৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে খেলেছেন। ১৬৯টি লিস্ট এ-র ম্যাচ খেলেছেন।
ফৈয়জ ফয়জলের বয়স ৩৮ বছর। দেশের হয়ে মাত্র ১টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছিলেন। বিদর্ভের হয়ে ১৩৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। ১১৩টি লিস্ট এ-র ম্যাচ খেলেছেন।
ধবল কুলকার্নির বয়স ৩৫ বছর। দেশের হয়ে ১২টি ওডিআই এবং ২টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। মুম্বইয়ের জার্সিতে ৯৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। ১৩০টি লিস্ট এ-র ম্যাচ খেলেছেন।
সৌরভ তিওয়ারির বয়স ৩৪ বছর। দেশের হয়ে ৩টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন। ঝাড়খণ্ডের হয়ে ১১৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। ১১৬টি লিস্ট এ-র ম্যাচ খেলেছেন।
বরুণ অ্যারনের বয়স ৩৪ বছর। দেশের হয়ে ৯টি টেস্ট ও ৯টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের হয়ে ৬৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। এবং ৮৪টি লিস্ট এ-র ম্যাচ খেলেছেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours