সা-চি জুটির পদক জেতার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। দু'জনেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। এতেই শেষ নয়, ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করছেন কোর্টে। মালয়েশিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে তাঁরা প্রমাণ করে দিলেন, আগামী দিনে এই দুই ভারতীয় ছেলে এমন অনেক অঘটন ঘটাবেন।


পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন! মালয়েশিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে ইতিহাস সাত্বিক-চিরাগের
Malaysia Open: পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন! মালয়েশিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে ইতিহাস সাত্বিক-চিরাগের

এর আগে আর কোনও ভারতীয় এই সাফল্য ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। একজন নন, দু’জন ইতিহাস তৈরি করে ফেললেন মালয়েশিয়ান ওপেনে (Malaysia Open)। এই প্রথম মালয়েশিয়ান ওপেনের ফাইনালে পৌঁছলেন ভারতের দুই ছেলে সাত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি (Satwiksairaj Rankireddy) ও চিরাগ শেঠী (Chirag Shetty)। ছেলেদের ডাবলস সেমিফাইনালে কোরিয়ান জুটি সেও সেয়াং জি-কাং মিং হুককে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিলেন। প্যারিস অলিম্পিকের আগে অনেকেই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। সা-চি জুটির পদক জেতার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। দু’জনেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। এতেই শেষ নয়, ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করছেন কোর্টে। মালয়েশিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে তাঁরা প্রমাণ করে দিলেন, আগামী দিনে এই দুই ভারতীয় ছেলে এমন অনেক অঘটন ঘটাবেন।


প্রথম গেম ২১-১৮ জিতেছিল সা-চি জুটি। কোরিয়ান শাটলাররা পাল্টা চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। দ্বিতীয় গেমে সেটাই শুরু করে। একটা সময় গেমও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল তারা। ২০-১৪ ছিল কোরিয়ানদের পক্ষে। সেখান থেকে খেলা আবার ঘুরে যায়। ২০তে দাঁড় করিয়েই গেমটা ২২-২০ জিতে নেন চিরাগ ও সাত্বিক। সেই সঙ্গে ম্যাচও। অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছেন দু’জন মিলে। আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে একটা সময় ভারতের উত্থান হয়েছিল সাইনা নেহওয়ালের হাত ধরে। তারপর পিভি সিন্ধু সাফল্য দিয়েছেন ভারতকে। পর পর দুটো অলিম্পিক থেকে নিয়ে এসেছেন পদক। সেই সরণিতেই যেন হাঁটছেন সাত্বিক ও চিরাগ।


১৯৮৩ সাল থেকে ধরলে ছেলে-মেয়েদের সিঙ্গলস কিংবা ডাবলসে আর কোনও ভারতীয় মালয়েশিয়ান ওপেনের ফাইনালে পা দেননি। খেতাবের একধাপ আগে দাঁড়িয়ে চিরাগ বলছেন, ‘কাংকেই বেছে নিয়েছিলাম আক্রমণ করার জন্য। ওকে একটু নার্ভাস দেখাচ্ছিল। তবে ওরা দু’জনই ভালো খেলেছে। আমরা কিন্তু নিজেদের খেলাটা খেলার চেষ্টা করছিলাম। যাতে কোনও ভুলত্রুটি না করি।’ এই রকম ম্যাচ একবার হেরেছেন সাত্বিক। তিনি বলে দিলেন, ‘আমার তখন খুব কম বয়স। একবার ২০-১২ থেকে একটা ম্যাচ হেরে গিয়েছিলাম। ওটা জাতীয় টুর্নামেন্ট ছিল। কিন্তু এই ম্যাচটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এগিয়ে গিয়েও হারটা মনে থেকে গিয়েছে।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours