এদিন গোটা কুস্তি ফেডারেশনকেই বরখাস্ত করেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। এরপরই, নয়া দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্রিজভূষণ। আর তারপরই তিনি জানিয়েছেন, কুস্তি ফেডারেশনে কী ঘটছে না ঘটছে, তা এখন আর তাঁর ভাবনার বিষয় নয়।

 ডেকে পাঠালেন নাড্ডা, বদলে গেল ব্রিজভূষণের সুর, কুস্তি মহলে খুশির হাওয়া
জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরই ব্রিজভূষণ বললেন, কুস্তির সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই

নয়া দিল্লি: কুস্তি বিতর্কে বড় অগ্রগতি। অবশেষে ভারতের কুস্তির আখড়া, অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ তথা কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর প্রভাব মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল। সম্প্রতি কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন সঞ্জয় সিং। যিনি ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এদিন সঞ্জয় সিং-এর নেতৃত্বাধীন পুরো কমিটিকেই বরখাস্ত করেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। এরপরই, নয়া দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্রিজভূষণ। আর তারপরই তিনি জানিয়েছেন, কুস্তি ফেডারেশনে কী ঘটছে না ঘটছে, তা এখন আর তাঁর ভাবনার বিষয় নয়। তিনি আরও দাবি করেছেন, কুস্তি ফেডারেশনের সাসপেন্ড হওয়া সভাপতি সঞ্জয় সিং তাঁর কেউ হন না, তাঁর আত্মীয় নন।

শনিবার, নবনির্বাচিত কুস্তি ফেডারেশন যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করেই অনূর্ধ্ব-১৫ এবং অনূর্ধ্ব-২০ ভারতীয় দলের সদস্যদের নাম ঘোষণা করে। এরপরই ক্রীড়া মন্ত্রক, পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত ডব্লিউএফআই প্রধান সঞ্জয় সিং-সহ নবনির্বাচিত গোটা প্যানেলটিকেই সাসপেন্ড করেছে। এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যে, রবিবার দিল্লিতে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করলেন কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং। যদিও তাঁর দাবি, জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের পিছনে কুস্তির কোনও প্রসঙ্গ ছিল না। দলীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্রিজভূষণ।

বৈঠকের পর, ব্রিজভূষণ বলেন, “সঞ্জয় সিং আমার আত্মীয় নন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি যাতে ফের শুরু করা যায়, তা নিশ্চিত করতেই তাড়াহুড়ো করে অনূর্ধ্ব-১৫ এবং অনূর্ধ্ব-২০ দলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য হাতে সময় খুব কম ছিল। তাই গোন্ডায় টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন। আসলে, সময়মত এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল না অন্য কোনও ফেডারেশনের।”

তাঁর আরও দাবি, ২১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নতুন সংস্থা নির্বাচিত হওয়ার সময় থেকেই কুস্তির সঙ্গে তিনি সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তিনি বলেন, “আমি কুস্তিগীরদের জন্য ১২ বছর ধরে কাজ করেছি। আমি ভাল কাজ করেছি কিনা তা সময়ই বলে দেবে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যা ঠিক করার তা ফেডারেশনের নির্বাচিত লোকজনই করবে।” যদিও, জয়ের পরই সঞ্জয় সিং-কে দেখা গিয়েছিল, ব্রিজভূষণকে প্রণাম করতে। ব্রিজভূষণও বলেছিলেন, “মেরাহি জবদবা রাহেগা (আমারই দাপট থাকবে)।”

এদিকে, কুস্তি ফেজারেশনের সভাপতি পদে সঞ্জয় সিং নির্বাচিত হওয়ার পরই, প্রতিবাদে কুস্তি থেকে অবসর নিয়েছিলেন সাক্ষী মালিক। পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া। এদিন ক্রীড়া মন্ত্রক, কুস্তি ফেডারেশনের নবনির্বাচিত প্যানেলকে সাসপেন্ড করার পর কুস্তি মহলে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সাক্ষী মালিকের বাবা জানিয়েছেন, তাঁরা খুশি। তবে, কুস্তি ফেডারেশনের মাথায় উপযুক্ত মানুষ বসলে, তবেই তাঁরা জয় বলে মনে করবেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours