ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আমেদাবাদে। এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ১৪ অক্টোবরের সেই ম্যাচই সেরা আকর্ষণ। পাকিস্তান টিম এই ম্যাচ নিয়ে কী ভাবছে? বাবর বলেন, 'আমরাও উত্তেজনায় ফুটছি। প্রথম বার ভারতে খেলব। তবে ১৪ অক্টোবরের আগেও আমাদের দুটো ম্যাচ রয়েছে। প্রতিটা ম্যাচ ধরে এগতে চাই। সঙ্গে এটাই ঠিক, ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে আমরাও রোমাঞ্চিত। বড় ম্যাচের অপেক্ষায় রয়েছি।'


কলকাতা: ভারতের মাটিতে প্রথম বার খেলবেন বাবর আজম। শুধু তিনিই নন, পাকিস্তান স্কোয়াডের মাত্র দু-জনেরই অতীতে ভারতে আসার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান স্কোয়াডে ছিলেন মহম্মদ নওয়াজ। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জন্য এসেছিলেন আঘা সলমন। পাকিস্তান টিম দীর্ঘ সাত বছর পর ভারতে। এ দেশে প্রথম বার খেলবেন, তাও আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে। বাকি দলগুলি যেমন ভারতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেন, তেমনই আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। পাকিস্তান প্লেয়ারদের সেই সুযোগ নেই। মাত্র কয়েক দিনের প্রস্তুতিতে বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করা সম্ভব? পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম যা বললেন, বিস্তারিত জেনে নিন -এর এই প্রতিবেদনে।


ক্য়াপ্টেন্স মিটে বাকিদের মতো ছিলেন বাবর আজমও। নানা প্রশ্নের মাঝে ভারতে খেলার চাপ এবং অনভিজ্ঞতা নিয়েও জানতে চাওয়া হয়। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারই হোক বা অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স। শুধু এঁরাই নন, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সব দেশেরই আইপিএলের সৌজন্যে ভারতের পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেকটাই জানা। পাকিস্তানের কাছে কি বাড়তি চাপ? বাবর আজম বলছেন, ‘আমরা কোনও চাপ অনুভব করছি না। এখানকার পরিস্থিতি পাকিস্তান এবং উপমহাদেশের বাকি দেশগুলোর মতোই। প্রায় এক সপ্তাহ এখানে অনুশীলন করছি। ওয়ার্ম আপ ম্যাচও খেলেছি। কোনও পার্থক্য মনে হয়নি।’

বাবর অবশ্য মনে করছেন ভারতের মাঠে বাউন্ডারি ছোট! তাঁর কথায়, ‘এখানে বাউন্ডারি ছোট। বোলারদের ভুলের কোনও জায়গা নেই। বোলাররা একটু ভুল করলেই ব্যাটাররা সুযোগ নিতে প্রস্তুত। আমার মনে হয়, হাইস্কোরিং ম্যাচ হবে। চেষ্টা করব আমাদের সেরা দিকগুলো তুলে ধরার।’ পাকিস্তান টিমের প্রধান শক্তি কী? এই প্রসঙ্গে বাবর বলেন, ‘আমার মতে বোলিংই প্রধান শক্তি। গত তিন বছর একই দল নিয়ে খেলছি। বোলিং শক্তির ওপরই বাড়তি ভরসা রয়েছে।’


ভারতের আতিথেয়তা নিয়ে বারবার প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন পাক ক্রিকেটাররা। এ দিনও মজা করে হায়দরাবাদের বিরিয়ানি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন রবি শাস্ত্রী। হেসে বাবর বলেন, ‘অন্তত একশো বার এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। এত দিন হায়দরাবাদের বিরিয়ানির কথা শুনেছি, এ বার খেয়েও দেখলাম। সত্যিই দুর্দান্ত।’

আতিথেয়তা, বিরিয়ানি, কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি। পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার বলেছেন, মাঠে ক্রিকেটাররা একা। বাবরকে সেই কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয়। পাক অধিনায়ক বলছেন, ‘আমিও অনেক কথাই শুনেছি। তবে ভারতে আসার পর থেকে যে আতিথেয়তা পেয়েছি, বিমানবন্দর থেকে হোটেল, ওয়ার্ম আপ ম্যাচ, যে ভাবে সকলে আমাদের সমর্থন করছে, পরিবেশটা দারুণ উপভোগ করছি। আরও একটা ভালো লাগত যদি, পাকিস্তান থেকেও অনেকে আসত। এই কদিন যেমন সমর্থন পেয়েছি, আশা করছি প্রতিটা স্টেডিয়ামে, সব ম্যাচে এভাবে সকলে আমাদের পাশে থাকবে।’

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আমেদাবাদে। এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ১৪ অক্টোবরের সেই ম্যাচই সেরা আকর্ষণ। পাকিস্তান টিম এই ম্যাচ নিয়ে কী ভাবছে? বাবর বলেন, ‘আমরাও উত্তেজনায় ফুটছি। প্রথম বার ভারতে খেলব। তবে ১৪ অক্টোবরের আগেও আমাদের দুটো ম্যাচ রয়েছে। প্রতিটা ম্যাচ ধরে এগতে চাই। সঙ্গে এটাই ঠিক, ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে আমরাও রোমাঞ্চিত। বড় ম্যাচের অপেক্ষায় রয়েছি।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours