ইস্টবেঙ্গল যে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি, তা নয়। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। হাইভোল্টেজ ম্যাচে হাতে গোনা সুযোগই মিলবে। কাজে লাগাতে না পারলে ভালো ফলের প্রত্যাশা না করাই শ্রেয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মহেশের দুর্দান্ত পাস। নন্দকুমারের সোনার সুযোগ। পুরো আনমার্কড ছিলেন। যদিও শট মারলেন বারের ওপর। ২-১ এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। আর একটি সুযোগ বাঁচিয়ে দেন বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত।


কলকাতা: অ্যাওয়ে ম্যাচ। তাতে অবশ্য সমর্থনের অভাব ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। এ মরসুমে তুলনামূলক ভালো পারফর্ম করছে ইস্টবেঙ্গল। কার্লেস কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছিল লাল-হলুদ। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে। আইএসএলে প্রথম ম্যাচে ড্র, দ্বিতীয় ম্যাচে অনবদ্য জয়। অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে অনবদ্য শুরু। দ্রুত লিডও নেয় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু রেফারির ভুল এবং নিজেদের সুযোগ নষ্টে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল। কার্লেস কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে মরসুমের দ্বিতীয় হার ইস্টবেঙ্গলের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে বেঙ্গালুরু এফসি বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


নতুন মরসুমে সমর্থকদের ভরসা দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও উদ্বেগ ছিল না। ম্যাচের শুরুর দিকেই গোল পেয়ে যাওয়া, আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু রেফারির ভুলের পরই যেন মানসিক ভাবে পিছিয়ে পড়ে তারা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো যায়নি। ম্যাচের ১৫ মিনিটেই কান্তিরাভায় লাল-হলুদ অ্যাডভান্টেজে। নন্দকুমারের লম্বা পাস। রানিং অবস্থাতেই রিসিভ করেন নাওরেম মহেশ। দ্রুত বল নিয়ে এগোন। বেঙ্গালুরু ডিফেন্সে মোহনবাগানের প্রাক্তনী স্লাভকো দামিয়ানোভিচ। গতিতে বাজিমাত করেন। দামিয়ানোভিচ এবং বেঙ্গালুরু ডিফেন্সকে পিছনে ফেলে গোলে শট মহেশের। অনবদ্য একটা গোল।

কয়েক মিনিট পরই সমতা ফেরায় বেঙ্গালুরু এফসি। ম্যাচের ১৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল বক্সে পড়ে যান সুনীল ছেত্রী। তাঁর কাছাকাছি ছিলেন মন্দার। রেফারি পেনাল্টি দেন। যদিও রিপ্লে-তে দেখা গিয়েছে মন্দারের ট্যাকল নয়, বরং তাঁর পায়ে আটকে পড়ে গিয়েছেন সুনীল। ইস্টবেঙ্গল প্লেয়াররা রেফারির সঙ্গে কথা বললেও কোনও লাভ হয়নি। ২১ মিনিটে সুনীলের পেনাল্টি গোলে সমতা ফেরায় বেঙ্গালুরু এফসি। আইএসএল-এ ৫৭তম গোল সুনীলের।


ইস্টবেঙ্গল যে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি, তা নয়। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। হাইভোল্টেজ ম্যাচে হাতে গোনা সুযোগই মিলবে। কাজে লাগাতে না পারলে ভালো ফলের প্রত্যাশা না করাই শ্রেয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মহেশের দুর্দান্ত পাস। নন্দকুমারের সোনার সুযোগ। পুরো আনমার্কড ছিলেন। যদিও শট মারলেন বারের ওপর। ২-১ এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। আর একটি সুযোগ বাঁচিয়ে দেন বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত।

ম্যাচের ৭১ মিনিটে লিড নেয় বেঙ্গালুরু এফসি। স্প্যানিশ তারকা হাভি হার্নান্ডেজের সাইড কিক গোল। তাঁর সেই অনবদ্য গোলই নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। অ্যাডেড টাইমে দারুণ জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন সিলভা আগের ম্যাচের মতো ম্যাজিক দেখাবেন, এমন প্রত্যাশাই যেন করেছিল লাল-হলুদ শিবির। ম্যাজিক কি আর রোজ হয়!
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours