গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অমৃতসরে "ওয়ারিস দে পঞ্জাব" যে নেশামুক্তি কেন্দ্র ও গুরুদ্বারগুলি পরিচালন করে, সেগুলিতেই বেআইনিভাবে অস্ত্র জমা রাখা হত। নেশামুক্তি কেন্দ্রে যে সমস্ত যুবকরা ভর্তি হত, তাদের মগজ ধোলাই করে বন্দুক সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করা হত।


রাজ্য়জুড়ে চলছে চিরুণি তল্লাশি। খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করতে তৎপর পঞ্জাব পুলিশ। বিগত তিনদিন ধরে চলছে অভিযান। শনিবারই অমৃতপাল সিংকে প্রায় ধরে ফেলেছিল পুলিশ, কিন্তু শেষ মুহূর্তে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বাইকে চেপে পালিয়ে যায় অমৃতপাল সিং। এরপর থেকেই চলছে তল্লাশি অভিযান। এরইমাঝে খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংয়ের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে, খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং পঞ্জাবের নেশামুক্তি কেন্দ্র ও গুরুদ্বারগুলিকে অস্ত্র ভাণ্ডার হিসাবে ব্য়বহার করছিলেন। এই নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিতেই যুবকদের মগজ ধোলাই করা হত আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য।


রবিবারই গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে মোটা নথি জমা দেওয়া হয় পঞ্জাবের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, দুবাই ফেরত অমৃতপাল সিং গত বছর পাকিস্তানের আইএসআই সংস্থা ও খলিস্তানপন্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রেখেছিলেন। অমৃতপাল সিংয়ের অন্যতম কাজ ছিল যুব প্রজন্মকে মগজধোলাই করা এবং তাদের মানববোমা হিসাবে ব্যবহার করা।

গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অমৃতসরে “ওয়ারিস দে পঞ্জাব” যে নেশামুক্তি কেন্দ্র ও গুরুদ্বারগুলি পরিচালন করে, সেগুলিতেই বেআইনিভাবে অস্ত্র জমা রাখা হত। নেশামুক্তি কেন্দ্রে যে সমস্ত যুবকরা ভর্তি হত, তাদের মগজ ধোলাই করে বন্দুক সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করা হত। সন্ত্রাসবাদী দিলওয়ার সিং, যিনি মানববোমা হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং পঞ্জাবের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেন্ত সিংকে হত্যা করে, তাঁর উদাহরণ দিয়ে রিহ্য়াবে আসা যুবকদেরও মানববোমা হওয়ার জন্য মগজধোলাই করত। বিভিন্ন নিহত সন্ত্রাসবাদীদের স্মরণসভায় যোগদান থেকে অস্ত্র ব্য়বহার নিয়ে প্রচার করতেন অমৃতপাল, এমনটাই জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকেই খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান শুরু করে পঞ্জাব পুলিশ। ৭ জেলা থেকে পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়। তবে পুলিশ কনভয় আটকে অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করতে গেলে, খলিস্তানি নেতা বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। শনিবারই তাঁকে পুলিশের তরফে পলাতক বলে ঘোষণা করা হয়। অমৃতপাল সিংকে পাওয়া না গেলেও, তার সংগঠনের ৭৮ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours