বৃহস্পতিবার সংসদে একটি বিল নিয়ে আলোচনা চলার সময় কিরেন রিজিজু বলেছিলেন, জামিনের থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের সেগুলিই দেখা উচিৎ।

বৃহস্পতিবারই বিচারক নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ( Kiren Rijiju)। বলেছিলেন, ‘বিচারপতি নিয়োগের পদ্ধতি বদল করা দরকার’। একইসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের জামিন সংক্রান্ত মামলা শোনাই উচিৎ নয়। বরং তার সাংবিধানিক বিষয় শোনা দরকার। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ঠিক একদিন পরই একটি মামলার শুনানি চলাকালীন তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা শোনালেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন তিনি বলেন, কোনও মামলাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে ছোট নয়। প্রধান বিচারপতির কথায়, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, গ্র্যান্ট রিলিফের মতো বিষয়ে যদি বিচারপতিরা কিছুই না করেন, তাহলে বিচারপতিরা কী জন্য রয়েছেন? এরপরই ওই মন্তব্য করেন তিনি।

এদিন একটি বিদ্যুৎ-মামলার শুনানি ছিল। এক ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ চুরির দায়ে ১৮ বছর সাজার নির্দেশ শোনানো হয়। এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসীমার পর্যবেক্ষণ, ‘এই মামলা চমকে দেওয়ার মতো।’ ‘প্লি বার্গেনিং’ (Plea Bagraning) মেনে নিয়ে সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি ৯টি মামলায় ২ বছর করে সাজা কাটান। এই মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টে ছিল। কিন্তু আদালত আর্জি মানতে চায়নি। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে আসেন তিনি। এই মামলার শুনানিপর্বেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যদি হস্তক্ষেপ না করে আমরা এখানে আছি কেন?”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours