ঘরের ভিতরের সমস্যা থাকলেও আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে ময়দানে নামতে প্রস্তুত বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীও। মূলত এই বার্তাই সুনীল বনসলের কাছে পৌঁছে দিতে চান তাঁরা।


আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির শীর্ষ নেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন জেলায় জেলায়। সাংগঠনিক শক্তিকে আরও মজবুত করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও বিশেষ নজর থাকছে উত্তরবঙ্গে। তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন এ রাজ্যের দায়িত্বে থাকা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল (Sunil Bansal)। জেলায় জেলায় ঘুরে সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। এমন পরিস্থিতিতে সুনীল বনসলের সঙ্গে দেখা করতে চান জলপাইগুড়ির ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি কর্মীরাও। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জলপাইগুড়ি জেলার পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে চান তাঁরা। ঘরের ভিতরের সমস্যা থাকলেও আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে ময়দানে নামবেন তাঁরা। মূলত এই বার্তাই সুনীল বনসলের কাছে পৌঁছে দিতে চান তাঁরা।



দলের অন্দরের সমস্যার ফায়দা যাতে তৃণমূল শিবির না তুলতে পারে সেই বিষয়ে সতর্ক বার্তা দিলেন জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপির অন্যতম মুখ অলোক চক্রবর্তী। শনিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি শ্রীদয়াল হলে ‘বিক্ষুব্ধ’দের একটি বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এই বার্তা দেন বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী। যদিও জেলা বিজেপির দাবি, দল-বিরোধী কাজের জন্য তাঁরা বহিষ্কৃত। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৮ টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই এগিয়ে ছিল বিজেপি শিবির। কিন্তু এরপরই ধীরে ধীরে ছন্দপতন হতে শুরু করে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এখানে ৪ টি বিধানসভা আসনে জেতে বিজেপি। তারপর পুরভোটেও মুখ থুবড়ে পদ্ম শিবির।

উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে প্রার্থীপদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরের সমস্যা বাড়তে শুরু করেছিল। দলের রাজ্য সভাপতি এসে কড়া বার্তাও দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সমস্যা মেটেনি। সম্প্রতি সুনীল বনসলও জানিয়ে দিয়েছিলেন, দলের মধ্যে কোনও উপদলীয় প্রভাব কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। যেখানে যা সমস্যা রয়েছে, তা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। এমন পরিস্থিতি সুনীল বনসলের সঙ্গে দেখা করতে চান বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরাও। একটি প্রতিনিধি দল রবিবার সন্ধেয় শিলিগুড়িতে গিয়ে সুনীল বনসলের সঙ্গে দেখা করার কথা।

এই বিষয়ে ‘বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী’র তরফে, অলোক চক্রবর্তী জানান, “দলের বহু নেতাকর্মী নোংরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারনে ঘরে বসে গিয়েছেন। বিজেপির পুরনো কার্যকর্তারা দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞ। তাই তাঁদের সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে।” দলের হাই কমান্ডের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি জানাতে তাঁরাও শিলিগুড়ি যাবেন, সেই কথাও জানান অলোকবাবু। তিনি আরও বলেন, “একটা পরিবারে বাবা-ছেলের মধ্যে গন্ডগোল থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে চোর এসে বাড়ির ইট চুরি করে নিয়ে যাবে এটা হতে পারে না।” যদিও এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যাঁরা বহিষ্কৃত তাঁদের বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours