এদিন জি-২০ সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রতীকীভাবে ভারতের সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

যুদ্ধ নয়। শান্তি ও স্থিতাবস্থাই কাম্য। বুধবার ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) বালিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এমনই শপথ নিলেন জি-২০ (G-20)-ভুক্ত রাষ্ট্রপ্রধানেরা। শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক আইন এবং বহুপাক্ষিক পদ্ধতিই একমাত্র রক্ষাকবচ বলে জি-২০ সামিটের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সামিটের প্রতিটি প্রস্তাবনাতেই নাগরিকদের সুরক্ষা ও সশস্ত্র দ্বন্দ্বের বিষয়টি উঠে এসেছে।

বালিতে আয়োজিত দু-দিন ব্যাপী জি-২০ সামিটের দ্বিতীয় দিন, বুধবার মূলত বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার ও প্রতিনিয়ত এক দেশের আরেক দেশের প্রতি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। বর্তমান বিশ্বে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীতি ও আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা করা জরুরি বলে সম্মেলনে উল্লিখিত হয়েছে। নাগরিকদের সুরক্ষা ও সশস্ত্র দ্বন্দ্বের বিষয়টিও এদিনের সামিটের বিবৃতিতে উঠে এসেছে। একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই দ্বন্দ্ব এড়ানো সম্ভব। সংকটজনক পরিস্থিতিতে এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে কূটনীতি ও আলোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে জি-২০ সামিটে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই বিষয়ে সহমত হয়েছেন জি-২০ সামিটে যোগ দেওয়া সকল প্রতিনিধি। প্রত্যেকেই শপথ নিয়েছেন, আজকের যুগ যুদ্ধের হবে না।

উল্লেখ্য, দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহতায় আজও শিহরণ জাগায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কয়েক দশক পার হয়ে গেলেও হিরোসিমা, নাগাসাকিতে পড়া পারমাণবিক বোমার রেশ এখনও কাটেনি। এরপরেও বর্তমানে পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রনেতারা পরস্পর ক্রমাগত হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন। গত কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত ঘটে চলা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ গোটা বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে যুদ্ধ নয়, শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানোর শপথগ্রহণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিন জি-২০ সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রতীকীভাবে ভারতের সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৩ সালে ভারত দুশোর বেশি সভার আয়োজন করবে দেশে। এই সভাপতিত্ব সকল ভারতীয়র জন্য গর্বের বিষয় উল্লেখ করে জি-২০ সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের বক্তৃত্বায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, সিদ্ধান্তমূলক এবং কর্মমুখী। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে বিশ্বের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই হবে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের লক্ষ্য।” আগামী ১০ বছরে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে ডিজিটালের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করার আহ্বান জানান তিনি। ভারত ইতিমধ্যে ডিজিটালি অনেকটা উন্নত হয়েছে দাবি জানিয়ে করোনা অতিমারির সময়ে দেশে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রয়োগের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours