রাজ্য কাঁপানো নিয়োগ দুর্নীতি। একদিকে তদন্তে CBI, ED’র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। অন্যদিকে শয়ে শয়ে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন, এরইমাঝে একাধিক বিষয়ে মঙ্গলবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ‘২০১৭ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও কেন ২০১৪ নিয়ে চুপ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ?’ প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীরা।

একদিকে ২০১৬’র প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শূন্যপদ পূরণের দাবিতে মামলা দায়ের হল। অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ ২০১৭’র প্রাথমিক টেটে ৮২ নম্বর পাওয়া সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য করা হলেও ২০১৪’র টেটের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কেন চুপ রয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেও দায়ের হল মামলা।  

'১৪-র টেট, কোথায় কত শূন্যপদ

২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট হয়। তার ভিত্তিতে প্রায় ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ২০১৬ সালে। এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এখনও ১ হাজার ৬৩০টি শূন্যপদ রয়ে গেছে। 
এদিন অবিলম্বে সেই শূন্যপদে নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশের জন্য আদালতে আবেদন জানান ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। এই মামলায় দ্রুত মামলাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য এদিন পর্ষদকে পরামর্শ দেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। 

পর্ষদের তরফে জানানো হয় বুধবার বৈঠকের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে। ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ১ হাজার ৬৩০টির মধ্যে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে জলপাইগুড়িতে (৯৬৬) এবং সবচেয়ে কম শূন্যপদ রয়েছে বাঁকুড়ায় (২৭)।

'১৭ টেট প্রার্থীদের নম্বর প্রকাশ

এদিকে সোমবার ২০১৭’র টেটে প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেখানে আদালতের নির্দেশে ৮২ নম্বর পাওয়া সংরক্ষিত প্রার্থীদের উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কিন্তু একই বিষয়ে ২০১৪’র ক্ষেত্রে কেন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলেও এদিন আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। 

টেটে উত্তীর্ণ হতে গেলে ৫৫ শতাংশ নম্বরের প্রয়োজন। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেটে বহু চাকরিপ্রার্থী ১৫০-র মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। অর্থাত্‍ প্রাপ্ত নম্বরের হার ৫৪ দশমিক ৬-৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে ৫৪ দশমিক ৬-৭ শতাংশ নম্বরকে ৫৫ শতাংশ নম্বর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। 

কিন্তু তারপরও কেন ২০১৪’র ক্ষেত্রে সেই বিজ্ঞপ্তি জারি হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। যদিও ২০১৭’র টেটের নম্বর প্রকাশ করলেও, এখনও ২০১৪’র টেটের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours