সরকার মেটা ইন্ডিয়ার কাছে জানতে চেয়েছে, কী কারণে দীপাবলির পরের দিন দুই ঘণ্টা তাদের পরিষেবা থমকে ছিল? তারপরই মেটা-র মালিকানাধীন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে যে, গতকাল কী কারণে তাদের পরিষেবা এত লম্বা সময়ের জন্য ব্যাহত ছিল।



মঙ্গলবার, 25 অক্টোবর ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘ সময়ের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় হোয়াটসঅ্যাপের যাবতীয় পরিষেবা। লক্ষাধিক ব্যবহারকারী প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কোনও মেসেজ পাঠাতে পারছিলেন না। করতে পারছিলেন না ভয়েস বা ভিডিয়ো কলও। পাশাপাশি এই দীর্ঘ সময়ের জন্য থমকে ছিল হোয়াটসঅ্যাপ পেমেন্ট পরিষেবাও। ঘণ্টা দুয়েক পর ফিরে এলেও কী কারণে এই বিভ্রাট প্রথমে তা জানায়নি হোয়াটসঅ্যাপ। আর তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন ব্যবহারকারীরা। কারণ, প্ল্যাটফর্মের গোলযোগের ফাঁকতালে সাইবার জালিয়াতরা গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি এঁটে থাকে! ভারত সরকারও মেটা ইন্ডিয়ার কাছে জানতে চেয়েছে যে, কী কারণে দীপাবলির পরের দিন দুই ঘণ্টা তাদের পরিষেবা থমকে ছিল? তারপরই মেটা-র মালিকানাধীন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে যে, গতকাল কী কারণে তাদের পরিষেবা এত লম্বা সময়ের জন্য ব্যাহত ছিল।

বিভ্রাটের ঘটনাটি ঘটেছিল।” সেই সমস্যার এখন সমাধান করা হয়েছে বলেও যোগ করেছে মেটা। এখান থেকে একটা বিষয় অনুমান করে নেওয়া যায় যে, দু’ঘণ্টার এই বিভ্রাট কেবল হোয়াটসঅ্যাপের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এবং তার জন্য ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদেই রয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপের প্যারেন্ট সংস্থা মেটা বিস্তরে ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করেনি। তাই, সেই ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’-র কারণ কী, তার সোজাসাপ্টা উত্তর এখনও অধরাই রয়ে গিয়েছে। ঘটনাচক্রে গত বছরও অক্টোবরে প্রায় ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা ব্যাহত ছিল। সেই সময় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছিল, ডিএনএস বা ডোমেইন নেম সিস্টেম সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তাদের পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল।

পাশাপাশি মেটা-র পক্ষ থেকে একটি ব্লগ পোস্ট করা হয়েছিল। সেখানে সংস্থাটি লেখে, “আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে যে, ব্যাকবোন রাউটারগুলিতে কনফিগারেশন পরিবর্তন আমাদের ডেটা সেন্টারগুলির মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিকের সমন্বয়ের ফলে এমন সমস্যার সৃষ্টি করে, যা এই যোগাযোগকে বাধা দেয়। নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিকের এই ব্যাঘাতটি আমাদের ডেটা সেন্টারগুলির যোগাযোগের পদ্ধতিতে একটি ক্যাসকেডিং প্রভাব ফেলেছিল এবং সেই কারণেই আমাদের পরিষেবাগুলি থমকে যায়।”

গত বছর এই কাণ্ডের জন্য দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বিভ্রাট দেখা গিয়েছিল। এ বছরেও সেই একই কাণ্ড ঘটতে পারে। তবে এবারের ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’ সম্পর্কে হোয়াটসঅ্যাপ পরবর্তীতে কিছু ব্যাখ্যা নিয়ে আসে কি না, তা একমাত্র সময়ই বলতে পারবে।

হোয়াটসঅ্যাপ বিভ্রাটের সময় ঠিক কী ঘটেছিল?

25 অক্টোবর, মঙ্গলবার ভারতীয় সময় দুপুর 12:30টায় হোয়াটসঅ্যাপ থমকে যায় এবং বেলা 2:30 নাগাদ পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। এই প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা বার্তা ও মিডিয়া ফাইল পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে পারেনি। ব্যবহারকারীরা ফোন কল এবং ভিডিয়ো কল করতেও অক্ষম ছিলেন।

আউটেজ ট্র্যাকার, ডাউনডিটেক্টর দেখিয়েছে যে ,69 শতাংশ ব্যবহারকারী বার্তা প্রেরণে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন, যেখানে 21 শতাংশ ব্যবহারকারী সার্ভার সংযোগ-সম্পর্কিত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। অন্য দিকে প্রায় 9 শতাংশ ব্যবহারকারী অজানা কারণে অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেননি।



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours