শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির ১০০-রও বেশি সাংসদ কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্রাডির কাছে লিজ ট্রাসের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে চিঠি জমা দিতে চলেছেন।


সবে মাত্র এক মাস হয়েছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন লিজ ট্রাস (Liz Truss)। এরমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর পরিকল্পনা। ব্রিটেনের কর নীতি নিয়ে গন্ডগোল শুরু হতেই শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করা হলেও, ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্যরা নিজেদের ‘ভুল’ সংশোধন করতেই মরিয়া।

দ্য ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির ১০০-রও বেশি সাংসদ কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্রাডির কাছে লিজ ট্রাসের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে চিঠি জমা দিতে চলেছেন। টোরি সদস্যরাও যদি অনাস্থা প্রকাশ করেন, তাহলে লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবর্তে কে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর কাজ শুরু হতে পারে, এমনটাই সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ সংসদের অন্দরে ইতিমধ্যেই ঋষি সুনকের নাম ঘোরাফেরা করছে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। গত সেপ্টেম্বরে হয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে লিজ ট্রাসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ঋষি সুনকই। কিন্তু শেষ দফায় ভোটে হেরে যান ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনক। টোরি সদস্যরা লিজ ট্রাসকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেন।



এদিকে, নির্বাচনের আগে থেকেই বলা হয়েছিল, যেই ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হন না কেন, তার সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে ব্রিটেনের অর্থনীতি সামাল দেওয়াই। করোনাকালে দেশের অর্থনীতিতে যেভাবে মন্দার ছায়া নেমে এসেছে, তা কাটিয়ে ওঠা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। নির্বাচনী প্রচারে নেমে তাই লিজ ট্রাসের অন্যতম প্রতিশ্রুতিই ছিল ব্রিটিশ নাগরিকদের উপর থেকে করের বোঝা কমানো। কিন্তু প্রথম বাজেট পেশ করতেই দেখা গিয়েছে, করের বোঝা কমা তো দূর, বরং তা আরও বেড়ে গিয়েছে। আর ট্রাসের এই ভুল নীতিতেই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ‘ভুল পছন্দ’ বলে মনে করছেন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours