শনিবার সন্ধ্যায় অসম-বাংলা সীমান্ত কুমারগ্রামের সঙ্কোশ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছিল ৮৫ কেজি ওজনের একটি বাঘা আড় মাছ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার জামাইষষ্ঠীর সকালে ফের সঙ্কোশ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ল ৭০ কেজি ওজনের আরও একটি বাঘা আড় মাছ।মত্স্যদপ্তর অনেক দিন আগেই বাঘা আড়কে বিলুপ্তপ্রায় নদীয়ালি মাছের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে। তারপরেও সঙ্কোশ নদীতে পর পর দু'দিন বিশাল ওজনের দু'টি বাঘা আড় মাছ জেলেদের জালে আটকে যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এর আগেও সঙ্কোশে পর পর ২০ কেজি ও ২৫ কেজি ওজনের বাঘা আড় ধরা পড়েছিল। এবার পরপর দু'দিন বেশি ওজনের মাছ ধরা পড়ল। মত্স্যদপ্তর যেখানে বাঘা আড়কে বিলুপ্তিপ্রায় নদীয়ালি মাছের তালিকায় রেখেছে সেখান সঙ্কোশে কেন এতবড় মাছ ধরা পড়ছে? এ বিষয়ে মত্স্যদপ্তরের আলিপুরদুয়ার জেলার সহ অধিকর্তা সুনীলচন্দ্র বর্মন বলেন, বর্ষা মরশুমের শুরুতে বৃষ্টির মিষ্টি জলের উপস্থিতিতে চঞ্চল হয়ে উঠে বাঘা আড় প্রজাতির মাছ। মিষ্টি জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই মাছ। আর তখনই জেলেদের জালে ধরা পড়ে যায় এই মাছ। ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্কোশে ভুটান থেকে আসা ঘোলা জলে চঞ্চল হয়ে উঠেছে এই মাছ।
মত্স্যদপ্তর জানিয়েছে, বিলুপ্তিপ্রায় নদীয়ালি মাছের তালিকায় বাঘা আড় থাকলেও এই মাছ সংরক্ষণের কোনও উপায় নেই। তাই এই মাছ ধরতে কোনও বাধা নেই। শনিবার সন্ধ্যায় কুমারগ্রাম ব্লকের নামাপাড়ায় সঙ্কোশে জেলেদের জালে ধরা পড়ে ৮৫ কেজি ওজনের একটি বাঘা আড়। নামাপাড়া থেকে সঙ্কোশের ওপাড়েই অসমের শিমূলটাপু এলাকা। জেলেদের সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নঅসমের ধুবড়ির এক মাছ ব্যবসায়ী ৮৫ কেজি ওজনের পেল্লায় ওই বাঘা আড় ৪৮ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যান। রবিবার জামাইষষ্ঠীর সকালে ফের সঙ্কোশে ধরা পড়ে ৭০ কেজি ওজনের আরও একটি পেল্লায় বাঘা আড়। কুমারগ্রামের বিষ্ণুনগরের মুসলিম চর এলাকায় সঙ্কোশে এদিন ধরা পড়ে ওই মাছটি।
স্থানীয় মত্স্য চাষি সোলেমান শেখ, নুরুদ্দিন শেখ, সিরাজুল শেখ ও রেজাউল শেখরা জানান, নদী থেকে তোলার পর এলাকাতেই এদিন এই মাছ নিমেষে বিক্রি হয়ে যায়। দর উঠেছিল ৬০০ টাকা কেজি। ওই দরে ৪২ হাজার টাকায় এদিন ৭০ কেজি ওজনের বাঘা আড়টি বিক্রি হয়ে যায়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours