রামপুরহাট 'গণহত্যার' পর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন বীরভূম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধার করতে হবে। তারপর থেকে শুধু বীরভূম নয়, গোটা রাজ্যেই তত্‍পর হয় পুলিশ। আর সেই তত্‍পরতা বাড়তেই অধিকাংশ জেলা থেকেই উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। বাদ গেল না পূর্ব বর্ধমানও।

জেলা থেকে ফের উদ্ধার প্রচুর সংখ্যক বোমা।

দেওয়ানদিঘি থানার তালিত রেল গেটের কাছে পীরতলা লাগোয়া মাঠের ঘটনা। সেখানেই পরিত্যক্ত দুটি জারের ভিতর মজুত ছিল প্রচুর পরিমাণ বোমা। শনিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দেখা যায় বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কের পাশের একটি মাঠের মধ্যে দুটি জারে বোমা গুলি রাখা রয়েছে। এদিকে, বোমের হদিস পাওয়ার পরই জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। যেহেতু গভীর রাতে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে সেই কারণে আশপাশের গ্রামের লোকজন সেভাবে টের পায়নি। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখতে পেয়ে বোমার বিষয়ে জানতে পারেন এলাকাবাসী। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আতঙ্কে ভুগতে থাকেন স্থানীয়রা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের সরাইটিকর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে নাইলনের ব্যাগে চারটি বোমা উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। আর এরপরই শনিবার রাতে ফের তালিতের এই ঘটনায় জেলা পুলিশ মহলেও আলোড়ন পড়েছে।

এক এলাকাবাসী বলেন, “আমাদের বাড়িতে ছোট-ছোট ছেলে-মেয়ে আছে। কেউ যদি বল ভেবে সেই বোমায় হাত দেয় কী হবে? বিষয়টি শোনার পর থেকেই আমরা খুব ভয়ে রয়েছি। এই মাঠেই ছেলেরা খেলতে আসে। যদি কিছু হয়ে যেত!” অন্যদিকে, আর এক এলাকাবাসী বলেন, “দু’টো ড্রামে বোমা রাখা রয়েছে।ভোর পাঁচটা নাগাদ বেরিয়ে দেখি পুলিশ জড়ো হয়েছে মাঠে। আমরা জিজ্ঞাসা করতেই পুলিশ জানাল এখানে বোমা রাখা রয়েছে কেউ এলাকায় আসিস না। যারাই এই কাজ করছে ভালো হচ্ছে না। যদি হঠাত্‍ বোমাগুলি ফেটে যেত তাহলে কী হত? এই এলাকায় অনেক ছেলে-মেয়ে, ছোট বাচ্চারা আসে খেলা করতে। কিছু অঘটন হতেই পারত।”

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours