১৯৬৯ সালে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ থেকে কলকাতায় খেলতে এসেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। কলকাতায় তাঁর প্রথম ক্লাব ছিল মোহনবাগান। আর এক স্ট্রাইকার সুকল্যাণ ঘোষদস্তিদারের সঙ্গে মিলে বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি জিতিয়েছিলেন। বাংলার ফুটবলে তাঁদের জুটি জোড়া ফলা নামে চিহ্নিত ছিল। দীর্ঘ ফুটবলার জীবনে রাইট আউটে তিনি ছিলেন পাওয়ার হাউস। ময়দানের অন্যতম সেরা ড্রিবলার ছিলেন। প্রচুর গোল করেছেন, করিয়েছেন। সুভাষ ভৌমিক তিন বড় দলে খেললেও ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল নিবিড়। তিনি সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলেছেন। ভারতীয় দলের আক্রমণভাগের স্তম্ভ ছিলেন একসময়ে। পিকে ব্যানার্জির অন্যতম শিষ্য ছিলেন সুভাষ ভৌমিক।
খেলা ছাড়ার পর কোচিং শুরু করেন। সেখানেও চূড়ান্ত সফল। ২০০৩ সালে তাঁর কোচিংয়ে আশিয়ান কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। লাল হলুদকে পরপর দুটো জাতীয় লিগ দিয়েছিলেন। তিন প্রধানেই কোচিং করান সুভাষ। এরপর পাড়ি দেন গোয়ায়। সেখানে চার্চিল ব্রাদার্সের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে আই লিগ জেতেন। বরাবরই ময়দানে ফাইটার হিসেবে পরিচিত ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। ভাবা হয়েছিল এবারও হয়ত তাঁর লড়াই জিতবে। আবার ফিরে আসবেন প্রিয় ময়দানে। কিন্তু এবার আর তা হল না। হার মানলেন সুভাষ। রেখে গেলেন স্ত্রী, পুত্র এবং পুত্রবধূকে। সুভাষ ভৌমিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ময়দানে। ভারতীয় ফুটবলে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours