সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুর এলাকার ভাগীরথী নদীতে দেখতে পাওয়া গেল একটি বিশাল আকৃতির কুমির। তবে কোথা থেকে এবং কীভাবে এই কুমিরটি মুর্শিদাবাদে ভাগিরথী নদীর জলে এসে পৌঁছল তা এখনও অজানা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ সদর ঘাট এলাকাতে কিছু যুবক যখন ভাগীরথী নদীর পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন সেই সময় তারা জলে বড় কিছু একটি জিনিস ঘুরে বেড়াতে দেখেন।নদীর ধারের অল্প আলোতে তারা দেখতে পায় একটি বড় কুমির পাড়ে ওঠার জন্য জলের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাগীরথী নদীতে কুমির দেখতে পাওয়া গিয়েছে এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুর এলাকাতে। এরপর কুমির দেখার জন্য এবং তার ছবি তুলতে নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে যান কয়েক হাজার মানুষ। অমিত বিশ্বাস নামে জিয়াগঞ্জের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'নদীতে কুমির দেখতে পাওয়া যাওয়ার খবর শুনেই আমি ছুটে যাই জিয়াগঞ্জ সদরঘাটে। সেখানে গিয়ে দেখি প্রায় ১০ ফুট লম্বা একটি কুমির জলে ঘোরাফেরা করছে।' তিনি বলেন,‌ 'প্রচুর মানুষ কুমির দেখতে পেয়ে হইচই শুরু করাতে কুমিরটি আর পাড়ে উঠে আসেনি।'স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরই কুমিরটি ভাসতে-ভাসতে নিমতলা ঘাট হয়ে লালবাগের দিকে চলে যায়। যদিও কুমির আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার সকালে যে সমস্ত মাঝি প্রত্যেকদিন ভাগীরথী বক্ষে মাছ ধরেন তারা বেশিরভাগই মাছ ধরতে জলে নামেননি। ভাগীরথীর ঘাটগুলোতে আজ খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তিকে স্নান করতে দেখা গিয়েছে। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক প্রসেনজিত্‍ ঘোষ বলেন, 'গতকাল রাতের বেলায় আমি স্থানীয় কিছু মাঝিদের কাছ থেকে জানতে পারি ভাগীরথীর বুকে একটি কুমির দেখা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য কুমিরটি প্রায় ১০-১২ ফুট লম্বা।'তিনি বলেন, 'কুমির সাধারণত নোনা জলে থাকে। কিন্তু ভাগীরথী নদীতে উজান বেয়ে কীভাবে কুমিরটি জিয়াগঞ্জে এসে পৌঁছল তা আমরা বুঝতে পারছি না। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি বনদপ্তরকে আমরা জানিয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে আমি জানতে পেরেছি কুমিরটি মুর্শিদাবাদ পুর এলাকার দিকে চলে গিয়েছে। আমরা ওই পুরসভার আধিকারিকদের ইতিমধ্যে সতর্ক করেছি।' 
Information source - আজকাল .in
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours