এতদিন পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল, কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এলে স্কুল খোলা হলে আগে খোলা উঁচু ক্ল‌াসগুলি। পরে প্রাথমিকের (Primary school) পড়ুয়াদের কথা ভাবা হবে। কিন্তু সম্প্রতি AIIMS প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছিলেন, শিশুদের শরীরে ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তাই এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্কুলগুলি খুলে দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা যেতেই পারে। এবার তাঁর পথেই হেঁটে সরকারি সংস্থা ICMR-এর তরফে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক বৈঠকে সংস্থার তরফে ডিজি বলরাম ভার্গবও একই মত পোষণ করলেন।
দেশে দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হয়েছে অনেকটাই। ধীরে ধীরে তৃতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। এই পরিস্থিতিতে ডা. ভার্গব জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা জানি শিশুরা ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলা বড়দের থেকে ভাল ভাবে করতে পারে। চতুর্থ সেরো সার্ভে রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বড়দের মতোই ছোটদের শরীরেও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে।’’ তবে তাঁর মতে, স্কুল খোলার আগে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীদের টিকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ইউরোপের উদাহরণ দেন তিনি। ইউরোপের কিছু দেশে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক স্কুল খুলে দিয়েছে। সেকথা জানিয়ে এদেশেও একই পথে হাঁটার পক্ষেই সায় দেন ডা. ভার্গব।
আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের ৬৭.৭ শতাংশ মানুষের দেহেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই হিসেবে এখনও ঝুঁকিতে রয়েছেন ৪০ কোটি মানুষ। সেই পরিসংখ্যান বলছে, ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশেরই শরীরে ইতিমধ্যে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে রয়েছে।
এদিকে সংক্রমণ যতই কমুক, ভয় দেখাচ্ছে করোনার R-value। অর্থাৎ একজন করোনা‌ রোগীর থেকে কতজন সংক্রমিত হচ্ছেন, তার হিসেব। যা ১ হয়ে যাওয়া মানেই বিদ সংকেত। গত জুনে যা নেমে এসেছিল ০.৭৮-এ। কিছুদিন আগে তা বেড়ে হয় ০.৮৮। এবার তা বেড়ে হয়েছে ০.৯৫। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও তা এভাবেই বেড়েছিল। ফলে এই দিকটি বিবেচনা করে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরাও।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours