সমুদ্রে ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সমুদ্রে যাওয়া দিঘার মৎস্যজীবিদের মুখে চিন্তার ছাপ। ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও কম উঠছে জালে। করোনার কারণে লকডাউন আর সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বেশ কয়েক মাস পরেই সমুদ্রে মাছ ধরার সুযোগ পেয়েছেন মৎস্যজীবিরা। উল্টে হতাশা বাড়ছে দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মান্দারমনি-সহ পুর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলের মৎস্যজীদের। সময়টা যেহেতু ইলিশের। তাই উৎসাহ নিয়েই দিঘা শঙ্করপুরের মৎস্যজীবিরা সপ্তাহ তিনেক হল ইলিশ জাল নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন সমুদ্রে।

ইলিশ পড়ছে না জালে, তাই ট্রলার নিয়ে মাঝ সমুদ্রে পাড়ি দিতে গিয়ে যা খরচা হচ্ছে, তাতে সংকট আরও বাড়ছে। তেল থেকে বরফ, যা যা নিয়ে ট্রলার নিয়ে মাঝ সমুদ্রে পাড়ি দিতে হয়। সে সবের সবকিছুরই দাম উর্ধ্বমুখী হওয়ায় আর্থিক সমস্যা দিনদিন বাড়ছে বলেই দাবি করছেন মৎস্যজীবিরা। ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও জালে না ওঠায় হতাশা বাড়ছে সকলের মধ্যেই। ইলিশ না ওঠায় দিঘা মোহনার মাছের বাজার ও আড়তও ফাঁকা ফাঁকা। অথচ বছরের এই সময়ই ইলিশের কারণে গমগম করত এই মাছ বাজার। কিন্তু সেই ছবি এবার এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। আদৌও কি সুদিন ফিরবে? ইলিশের হাত ধরে সেই সুদিন? আশায় আশায় দিন গুনছেন সমুদ্র উপকূলের মৎস্যজীবিরা।

মৎস্যজীবিদের ট্রলার পাড়ি জমাচ্ছে মাঝ সমুদ্রে। লক্ষ্য যেখানে বেশি বেশি সমুদ্রের রূপালি শষ্য ধরা, এবার সেখানে ইলিশের দেখা একেবারেই মিলছে না বলে দিঘার মৎস্যজীবিরা জানাচ্ছেন। যা তাদের হতাশা বাড়াচ্ছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এইসব অঞ্চলের বাসিন্দা মৎস্যজীবিদের এই সময়ে লক্ষ্য যা কিছু সবই ইলিশকে ঘিরেই। বেশি বেশি ইলিশ জালে ওঠা মানে বাড়তি আয় আর লাভের মুখ দেখা! এবার যা একেবারেই হচ্ছে না বলে মৎস্যজীবিরা জানাচ্ছেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours