চিন্নাস্বামীতে RCB বনাম SRH ম্যাচে একঝাঁক T-20 রেকর্ড, রইল বিস্তারিত আইপিএলে এটিই তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। আইপিএলের ইতিহাসে ৩৯ বলে সেঞ্চুরি চতুর্থ দ্রুততম। ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেই ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্রিস গেইল।

পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে করা সেই সেঞ্চুরিই আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম। ট্রাভিস হেডের ৩৯ বলে সেঞ্চুরি সানরাইজার্স ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম। ২০১৭ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৪৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সানরাইজার্সের প্রাক্তন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।

চিন্নাস্বামীতে RCB বনাম SRH ম্যাচে একঝাঁক T-20 রেকর্ড, রইল বিস্তারিত

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সোমবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যে ম্যাচে একঝাঁক রেকর্ড তৈরি হল। বেশির ভাগই হোম টিম আরসিবির বিপক্ষে। এ বারের আইপিএলে সাত ম্যাচ খেলে ষষ্ঠ হার বিরাট কোহলিদের। কম্বিনেশনে বেশকিছু পরিবর্তন করেও ফলে কোনও ইতিবাচক হয়নি। আরসিবির এই ম্যাচে প্রাপ্তি দীনেশ কার্তিকের লড়াই। তিনি ক্রিজে থাকা অবধি পাহাড় প্রমাণ রানটাও পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব দেখাচ্ছিল। মাত্র ৩৫ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস দীনেশের।


আরসিবি-সানরাইজার্স ম্যাচে কী কী রেকর্ড তৈরি হল?

287-3: আরসিবিরি বিরুদ্ধে সানরাইজার্সের স্কোর। আইপিএলের ইতিহাসে এটিই সর্বাধিক। তিন সপ্তাহ আগে ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ২৭৭ করেছিল সানরাইজার্স। নিজেদের রেকর্ডই ছাপিয়ে গেল তারা। পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে এটি দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোর।
১- পুরুষদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড রয়েছে নেপালের। এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান করেছিল নেপাল। সার্বিক ভাবে দ্বিতীয় স্থানে সানরাইজার্সের ২৮৭-৩ এই স্কোর।

৫৪৯- রান হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচে এটিই সর্বাধিক রান। এ বারের মরসুমেই সানরাইজার্স বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে হয়েছিল মোট ৫২৩ রান।
২২-সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ২৮৭-৩ রানের ইনিংসে মোট ছয় ২২টি। আইপিএলে এক ইনিংসে এটিই সর্বাধিক। এর আগে এক ইনিংসে ২১টি ছয়ের রেকর্ড ছিল আরসিবির দখলে। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে এই রেকর্ড গড়েছিল আরসিবি।
৩৮- সানরাইজার্স বনাম আরসিবি ম্যাচে মোট ৩৮টি ছয়। সানরাইজার্স বনাম মুম্বই ম্যাচেও একই সংখ্যক ছয় হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচে এটিই সর্বাধিক।
৮১-বেঙ্গালুরুতে দু-দল মিলিয়ে মোট বাউন্ডারির সংখ্যা ৮১। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে যুগ্মভাবে যা সর্বাধিক। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে একইসংখ্যক বাউন্ডারি হয়েছিল।
২৬২-৭: সানরাইজার্সের দেওয়া ২৮৮ রানের টার্গেট তা়ড়ায় নেমে আরসিবি ২৬২-৭ করে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হারের ক্ষেত্রে এটিই সর্বাধিক স্কোর। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। গত বছর সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৫৮-৫ করেও হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৩৯-বলে সেঞ্চুরি করেন ট্রাভিস হেড। আইপিএলে এটিই তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। আইপিএলের ইতিহাসে ৩৯ বলে সেঞ্চুরি চতুর্থ দ্রুততম। ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেই ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্রিস গেইল। পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে করা সেই সেঞ্চুরিই আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম। ট্রাভিস হেডের ৩৯ বলে সেঞ্চুরি সানরাইজার্স ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম। ২০১৭ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৪৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সানরাইজার্সের প্রাক্তন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। অজি ক্রিকেটারের রেকর্ড ভেঙে দিলেন আর এক অজি ব্যাটার।
১-আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্রথম দল যারা একাধিক ২৫০ প্লাস স্কোর গড়েছে। যদিও দ্বিতীয় দল হিসেবে তালিকায় নাম লিখিয়েছে আরসিবিই। রান তাড়ায় আরসিবিও ২৬২ করেছে। অতীতে আরসিবির ২৬৩ রান ছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৫০ প্লাস স্কোর করা টিম হল সারে (তিন বার), ইয়র্কশায়ার (২), চেক প্রজাতন্ত্র (২) ও সমারসেট (২)।
৪- আরসিবির চার পেসারই ৫০-এর বেশি রান দিয়েছেন। রিস টপলি (৬৮), যশ দয়াল (৫১), লকি ফার্গুসন (৫২) এবং বিজয়কুমার বিশাখ (৬৪)। পুরুষদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই প্রথম চার বোলার ৫০-এর বেশি রান দিলেন। আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে অতীতে দু-জনের বেশি ৫০-এর উপর রান দেননি।
৪-সানরাইজার্স ইনিংসে চারটি ৫০ কিংবা তার বেশি রানের জুটি হয়েছে। ওপেনিং জুটি হয়েছে সেঞ্চুরির। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এক ইনিংসে এতগুলো ৫০ প্লাস রানের জুটি। এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স সেই উদ্বোধনী আইপিএলে আরসিবির বিরুদ্ধে চারটে ৫০ প্লাস রানের জুটি গড়েছিল।
৭-আরসিবি ও সানরাইজার্স দু-দল মিলিয়ে মোট সাতটি ৫০ প্লাস রানের জুটি হয়েছে। এর আগে কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫-এর বেশি ৫০ প্লাস রানের জুটি হয়নি।
১৩-আরসিবির বিরুদ্ধে মোট ১৩টি সেঞ্চুরি হল। আইপিএলে এক দলের বিরুদ্ধে এটিই সর্বাধিক। এই লজ্জার রেকর্ডে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (১২) ছাপিয়ে গেল আরসিবি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এক দলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি হয়েছে ১৫টি। সব মিলিয়ে আরসিবির বিরুদ্ধেও ১৫টি সেঞ্চুরি হল। আরসিবি ছাড়া এই লজ্জার রেকর্ড রয়েছে কেন্ট এবং নর্দ্যাম্পটনশায়ারের।
১৫-ওভারের মধ্যেই ২০০ রানে পৌঁছেছে সানরাইজার্স। আইপিএলে যা তৃতীয় দ্রুততম। এ মরসুমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১৪.৪ ওভারে ২০০ রানে পৌঁছেছিল সানরাইজার্স। এর আগে ২০১৬ সালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১৪.১ ওভারে ২০০ রানে পৌঁছেছিল আরসিবি। আইপিএলে এটিই দ্রুততম। সেই ম্যাচটি হয়েছিল ১৫ ওভারের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours