বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর একসময় ছিল কংগ্রেসের গড়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিষ্ণুপুর পুরসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোতুলপুর ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় জয়ী হয় কংগ্রেস।

জোটে সমীকরণে সেই মনগরম, বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুরে সিপিএম প্রার্থীর প্রচারে দেখা মিলছে না কংগ্রেসীদের
সিপিএমের প্রচারে দেখা মিলছে না কংগ্রেসীদের


বাঁকুড়া: জোট সমীকরণে সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার দুটি আসনেই প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। বাঁকুড়ায় সিপিএম প্রার্থীর সমর্থনে মাঝেমধ্যে কংগ্রেস কর্মীদের দেখা গেলেও বিষ্ণুপুর লোকসভায় দেখা মিলছে না কংগ্রেস কর্মীদের। এজন্য গলায় অভিমানের সুর কংগ্রেস নেতৃত্বের। তোপ দেগেছে বামেদের বিরুদ্ধে। বামেরা অবশ্য সুর নরম করে জানিয়েছে এই প্রচারে সামিল হওয়ার দায়িত্ব দু’পক্ষেরই।


বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর একসময় ছিল কংগ্রেসের গড়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিষ্ণুপুর পুরসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোতুলপুর ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় জয়ী হয় কংগ্রেস। নেতা ও কর্মীদের লাগাতার দলবদলের জেরে বিষ্ণুপুরে পরবর্তীতে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষমতা কমলেও এলাকাভিত্তিক কিছু কর্মী এখনও রয়েছে কংগ্রেসের।

সারা রাজ্যে বাম কংগ্রেস জোট করে লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে নামলেও বিষ্ণুপুরে বাম প্রার্থী শীতল কৈবর্ত্যর প্রচারে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না কংগ্রেসের পতাকা। কেন এমন অবস্থা? তবে কী কোথাও জোটে ফাটল বিষ্ণুপুরে?


বিষ্ণুপুরের প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য দেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বামেদের পক্ষে সর্বাত্মকভাবে প্রচারে নামতে তাঁরা তৈরি। কিন্তু তাঁদের মেয়ের বিয়ে নয়। বামেরা কংগ্রেসকে না ডাকলে কংগ্রেস আগ বাড়িয়ে প্রচারে যাবে না। কংগ্রেস নেতৃত্বের এই অভিমানের কথা শুনে সুর নরম বাম প্রার্থীর। বিষ্ণুপুরের বাম প্রার্থী শীতল কৈবর্ত্যর বক্তব্য, তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে কঠিন এই লড়াইয়ে বামেদের পাশাপাশি কংগ্রেসেরও দায়িত্ব প্রচারে অংশ নেওয়া। তারপরও কংগ্রেস কর্মীরা অভিমান করে থাকলে বিষয়টি নিয়ে বাম জেলা নেতৃত্ব কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours