প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল লোকেশ রাহুল এক ম্যাচ পরই ফিরতে পারবেন। চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য লন্ডন যেতে হয়। সিরিজের বাকি ম্যাচে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। রাহুল ছিটকে যাওয়ায় টেস্ট স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলেন দেবদত্ত। রঞ্জি ট্রফিতে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। তারই পুরস্কার পেয়েছেন। স্কোয়াডে ডাক মানেই অভিষেক হবে, নিশ্চয়তা ছিল না। তবে দেবদত্ত টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার খবর বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তাঁর বাবা!

 'ভেবেছিলাম ইয়ার্কি করছে...', বিশ্বাসই করেননি গর্বিত বাবা!

ধরমশালা টেস্টে অভিষেক হল দেবদত্ত পাড়িক্কালের। ভারত-ইংল্য়ান্ড পাঁচ ম্যাচের সিরিজে একঝাঁক ক্রিকেটারের টেস্ট অভিষেক হয়েছে। এই চিত্রটা দুই শিবিরেই। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে অভিষেকের তালিকায় নতুন সংযোজন দেবদত্ত। তাঁর আগে রজত পাতিদার, সরফরাজ খান, ধ্রুব জুরেল, আকাশ দীপের টেস্ট অভিষেক হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটের শুরুটা দুর্দান্ত হল দেবদত্ত পাড়িক্কালের। অভিষেক ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি। ছেলে টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পাওয়ায় কী অভিব্যক্তি ছিল বাবার? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

হায়দরাবাদে প্রথম টেস্টের পরই চোট সমস্যা দেখা যায় ভারতীয় শিবিরে। তালিকায় ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা, লোকেশ রাহুল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল লোকেশ রাহুল এক ম্যাচ পরই ফিরতে পারবেন। চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য লন্ডন যেতে হয়। সিরিজের বাকি ম্যাচে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। রাহুল ছিটকে যাওয়ায় টেস্ট স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলেন দেবদত্ত। রঞ্জি ট্রফিতে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। তারই পুরস্কার পেয়েছেন। স্কোয়াডে ডাক মানেই অভিষেক হবে, নিশ্চয়তা ছিল না। তবে দেবদত্ত টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার খবর বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তাঁর বাবা!

লোকেশ রাহুলের মতো দেবদত্তও বেঙ্গালুরুর। পরিবারে খুশির খবর। তাঁর বাবা বাবুনু কুন্নত অবশ্য বলছেন, ‘ ম্যাচের আগের রাতেও দেব যখন ফোন করেছিল, নিশ্চিত ছিল না খেলার সুযোগ হবে। আমরাও ভেবেছিলাম, রজত পাতিদারকে আরও একটা সুযোগ দেওয়া হবে। আমার এক বন্ধু ম্যাচ দেখতে ধরমশালা গিয়েছে। সে হঠাৎ আমাকে শুভেচ্ছা জানায়। ভেবেছিলাম আমার সঙ্গে ইয়ার্কি করছে। টেলিভিশন অন করতেই দেখি অশ্বিনের হাত থেকে টেস্ট ক্যাপ নিচ্ছে দেব।’

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, টেস্ট অভিষেকে পরিবারের লোকেরাও উপস্থিত থাকেন। দেবদত্তর পরিবার ধরমশালায় নেই। হঠাৎ সুযোগই কি এর কারণ? দেবদত্তর বাবা আরও বলেন, ‘আমরা টিভিতে খেলা দেখতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। খুব কম ম্যাচেই মাঠে গিয়ে ওর খেলা দেখেছি। আইপিএলে একটা ম্যাচও মাঠে গিয়ে দেখিনি। আমার বড় মেয়ে মুম্বইতে থাকে। ও হয়তো ভাইয়ের খেলা দেখতে যেতে পারে।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours