ব্রান্ড ভারত কীভাবে তৈরি হবে, এই প্রসঙ্গে জি-২০র শেরপা অমিতাভ কান্ত বলেন, "আমাদের ভারতে প্রতিটি রাজ্য একে অপরের থেকে আলাদা। তাদের সকলের আলাদা করে পরিচিতি তৈরির সুযোগ রয়েছে। যেমন রাজস্থান বা কাশ্মীর করেছে। এভাবে ভারতের পর্যটন ১০ গুণ বাড়তে পারে।"
মলদ্বীপ-মরিশাসের ভুল লাক্ষাদ্বীপে করলে চলবে না, কেন এমন বললেন অমিতাভ কান্ত?
অমিতাভ কান্ত।
নয়া দিল্লি: পর্যটন শিল্পে ক্রমাগত উন্নতি করছে ভারত। দেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশই আসছে পর্যটন শিল্প থেকে। কীভাবে ভারতের পর্যটন শিল্পে উন্নতি করা যায় এবং এটি দেশের সফট পাওয়ারে উপযোগী হতে পারে, তা নিয়েই আলোচনা করলেন নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও তথা জি-২০র শেরপা অমিতাভ কান্ত।
নিজের কর্মজীবনের শুরুর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে অমিতাভ কান্ত বলেন, “কেরলে যখন আমি কাজ শুরু করি, তখন কেরলের একটাই পরিচিতি ছিল, কোভালাম বিচ। আমরা কেরলের ঐতিহ্য, হাউসবোট, কথাকলি, মোহিনী আট্যম, আয়ুর্বেদ সহ বিভিন্ন জিনিসকে তুলে ধরি কেরলের পরিচিতি হিসাবে।”
ব্রান্ড ভারত কীভাবে তৈরি হবে, এই প্রসঙ্গে জি-২০র শেরপা অমিতাভ কান্ত বলেন, “আমাদের ভারতে প্রতিটি রাজ্য একে অপরের থেকে আলাদা। তাদের সকলের আলাদা করে পরিচিতি তৈরির সুযোগ রয়েছে। যেমন রাজস্থান বা কাশ্মীর করেছে। এভাবে ভারতের পর্যটন ১০ গুণ বাড়তে পারে। ওয়ান স্টেট ওয়ান ট্যুরিজমে আরও জোর দেওয়া উচিত। উত্তর প্রদেশকেই দেখুন, এটা যদি দেশ হত, তবে পঞ্চম বৃহত্তম দেশ হত। বিহার বৌদ্ধ ট্যুরিজম হিসাবে উঠে আসতে পারে। ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ডেরও এমন সুযোগ রয়েছে।”
এদিনই প্রধানমন্ত্রী দ্বারকায় যান। সেখানে তিনি স্কুবা ডাইভিং করে সমুদ্রের নীচে ডুবে থাকা দ্বারকায় গিয়ে কৃষ্ণের পায়ে ময়ূরের পালক অর্পণ করে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর এই পর্যটনের উপর জোর দেওয়ার কারণ কী, এই প্রশ্নের উত্তরে অমিতাভ কান্ত বলেন, “ভারতের কাছে পর্যটনের যে সম্পদ রয়েছে, তা অন্য কারোর কাছে নেই। পর্যটনে একটা চাকরি থেকে আরও সাতজনের কর্মসংস্থান হয়। ভারত পর্যটনে আগামী ৫ বছরে ২ কোটি ৫ লক্ষ চাকরি তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী এটা বিশ্বাস করেন এবং সেই কারণে কোথাও গেলেই পর্যটনে জোর দেন।”
সম্প্রতিই প্রধানমন্ত্রী মোদী লাক্ষাদ্বীপ যাওয়ার পর যেভাবে তা চর্চায় উঠে আসে এবং মলদ্বীপের সঙ্গে এই নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়, সে প্রসঙ্গেও কথা বলেন অমিতাভ কান্ত। লাক্ষাদ্বীপ কী কখনও মলদ্বীপের চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “লাক্ষাদ্বীপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমাদের দেশের। এর ক্ষমতা খুব সীমিত। মাস ট্যুরিজম বা বিপুল পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে না। কয়েকটি দ্বীপেই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। মলদ্বীপ বা মরিশাসের মতো ভুল আমরা করতে পারি না। হাই ভ্যালু, লো মাসের পর্যটন করতে হবে আমাদের। সাসটেনেবল বা নির্ভরশীল পর্যটন তৈরি করতে হবে, যাতে লাক্ষাদ্বীপের জীব বৈচিত্রের কোনও ক্ষতি না হয়।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours