সারা বিশ্বের কাছে ডুবন্ত দ্বীপের পরিচিতি কাটিয়ে সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে পরিচিত হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখাচ্ছে দঃ ২৪ পরগণার সাগর ব্লকের অন্তর্গত এরাজ্যের ক্ষুদ্রতম পঞ্চায়েত ঘোড়ামারা। নদী ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারানোর ভয়ের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই এই দ্বীপের মানুষজনের রোজনামচা।
প্রায় দু বছর আগের ভয়াবহ দুর্যোগ ইয়সের ফলে ঘটে যাওয়া বন্যা, সঙ্গে কোভিড মহামারীর ভ্রুকুটি ঘোড়ামারার আর্থ-সামাজিক জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছিল। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েত জীবিকা উন্নয়ন ও মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য নানা ধরণের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। শিক্ষার প্রসারে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে চলছে অভিনব অবৈতনিক পাঠশালা, গড়ে উঠেছে বুক ব্যাঙ্ক, ভ্রাম্যমান পাঠাগারও। আবার মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়ণের জন্য হাঁস, মুরগী, ছাগল পালনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি পঞ্চায়েতের উদ্যোগেই বিনা মূল্যে মুরগী, হাঁস বাচ্চাও দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর সমস্ত পঞ্চায়েতকেই এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। সেই লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার লক্ষ্যে যারা শহীদ হয়েছিলেন, তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্য এই দিনটি সারা বিশ্বের বাঙালিদের কাছে একটি বিশেষ আবেগের দিন। আর রাষ্ট্রসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই দিনটি মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আজ ঘোড়ামারার ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দ্বীপের একমাত্র হাইস্কুলের সমস্ত শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রীরা। নাচ, গান, কবিতায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন উপস্থিত সবাই। আর অনুষ্ঠানের শেষে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জীব সাগর বলেন, বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার জন্য ভাষা শহীদদের আত্মবলিদানের ইতিহাস আজকের প্রজন্মের কাছে ফিকে হয়ে গেছে। তাই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রতিবছর এই ভাষা শহীদ দিবস পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে,
স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল
Post A Comment:
0 comments so far,add yours