মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডারে ৫০০ টাকা বাড়িয়েছেন। একশো দিনের টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কেন্দ্র বলেছিল, প্রত্যেক মানুষের মাথায় পাকা ছাদের ব্যবস্থা করবেন, আজকে ২০২৪। বাংলার ৩৬ হাজার প্রকৃত প্রাপক এখনও আবাস পায়নি।

প্রতি ঘণ্টায় ৬ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার কাজ! বাংলার বড় 'কর্মসংস্থানে'র হিসাব দিলেন অভিষেক
চড়িয়ালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

বজবজ: চড়িয়ালে সভা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চড়িয়াল ব্রিজ উদ্বোধন করেন তিনি। কী বলছেন দেখুন এক নজরে….




আমি বজবজবাসীর কাছে চির কৃতজ্ঞ। মায়েরা উলুধ্বনি দিয়েছেন, আমি যে উৎসাহ লক্ষ্য করেছি, তা অভূতপর্ব। যত কুৎসা হচ্ছে, তত মানুষের জনসমর্থন বাড়ছে। এটা নজিরবিহীন।
১৮৯৭ সালে আজকের দিনেই স্বামী বিবেকানন্দের পায়ের ধূলো এই বজবজের মাটিতে পড়েছিল। ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় করে ব্রিজ তৈরি হল। পাঁচ দশকের দাবি পূরণ।

এখানে ছিলেন জ্যোতির্ময়বাবু, অমল, শমিক লাহিড়ী। ৩৪ বছরে চড়িয়াল খালের কোনও সুব্যবস্থা হয়নি। ২০১৪ সালের নির্বাচন করতে এসে আসি যখন, তখন জল কল নিয়ে সমস্যা তো ছিল, কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল চড়িয়াল। অশোক দা বলেছিলেন, কেউ করতে পারেননি, তুমি করতে পারলে দেখব। আমি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। শুধু ইট পেতে ঘটা করে শিলান্যাস করা নয়, আমরা কাজ করে দেখাই।
আমরা কেন বলি ডায়মন্ড হারবার মডেল। আমি সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর আমি বলেছিলাম, আমি আমার এক্তিয়ার অনুযায়ী, রাস্তা জল কলের সমস্যার সমাধান করব। আমার কাছে যে খবর এসেছে, আমি ব্যবস্থা করেছি। চড়িয়াল খালের পুনর্বাসনের সমস্যা হচ্ছিল, তখন অশোকদারা অনেক বলেছিলেন, আমরা আজ চড়িয়াল সেতু উদ্বোধন করতে পেরেছি।
কোভিডের সময়ে প্রতিনিধিদের দ্বারা অভুক্তদের বাড়িতে খাবার পৌঁছেছি, ত্রিপল দিয়েছি, আমাদের সরকার গরিবের পাশে দাঁড়িয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে শান্তি শৃঙ্খলা, সভ্যতা বজায় রেখেছে। এজন্য ডায়মন্ড হারবার মডেল বলেছি।
৭০ হাজার বয়স্ক মানুষের অ্যাকাউন্টে ১ হাজার টাকা করে পৌঁছেছি। আর্থিক সহায়তা রাজ্য সরকারই দেবে, কেন্দ্র দেবে না। রাজ্য সরকার বার্ধক্য ভাতা রাজ্য জুড়ে চালু করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডারে ৫০০ টাকা বাড়িয়েছেন। একশো দিনের টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কেন্দ্র বলেছিল, প্রত্যেক মানুষের মাথায় পাকা ছাদের ব্যবস্থা করবেন, আজকে ২০২৪। বাংলার ৩৬ হাজার প্রকৃত প্রাপক এখনও আবাস পায়নি। তাঁদের টাকা আটকে রেখেছে।
আপনারা উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোট দিয়েছেন, আপনারা বলুন, প্রধানমন্ত্রী পেরেছেন ডায়মন্ড হারবারে উন্নয়নকে আটকাতে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, আমাদের সরকার আর কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা চাইবে না। একশো দিনের শ্রমিকদের টাকা দেবে বাংলা। যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৩৩০টির বেশি অঞ্চলে ১০-১৭ পর্যন্ত ক্যাম্প করা হয়েছে। মানুষ এসে নাম নথিভুক্ত করেছে। এটা রাজ্যের সরকার। কথা রাখে।
আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সম্মান করি। একটা নির্দিষ্ট দল জেতেনি বলে টাকা আটকে রাখবে, এটা মানুষ মানবে না।
৫০ কোটি টাকা খরচ করে এমজিরোড, বিবিটি রোড হয়েছে। উড়ালপুল হয়ে গিয়েছে। বলেছিলাম রাস্তাও হবে। মহেশতলার ৭০ শতাংশ মানুষ উড়ালপুলের নীচে বাস করেন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আসছি রাস্তা উদ্বোধন করতে।
ডায়মন্ড হারবারে পাঁচ হাজার পাঁচশো কোটি টাকার কাজ ১০ বছরে করেছি। মানে এক বছরে ৫৫৮ কোটি টাকার কাজ করেছি, প্রতি মাসে ৪৬ কোটি টাকার কাজ করেছি। রোজ ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ৬ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার কাজ হয়েছে। ১ মিনিটে ১০ হাজার ৮০০ টাকার কাজ হয়েছে। ১ সেকেন্ডে ১৮০ টাকার কাজ হয়েছে ১০ বছর ধরে। ভারতে যদি কেউ করে থাকতে পারেন, যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, আমি তো প্রমাণ করেছি খতিয়ান দিয়েছি, কোথায় কত টাকা খরচ করি, রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না।
আমার জন্ম হয়তো দক্ষিণ কলকাতায় হয়ে থাকতে পারে, ভগবানের কাছে কামনা করি, মৃত্যু যেন ডায়মন্ড হারবারে হয়। ১০০ দিনের শ্রমিকরা কেউ যদি বাকি থেকে থাকেন বিডিও অফিসে অ্যাপ্লিকেশন দেবেন। আপনারা আপনাদের টাকা পেয়ে যাবেন।
কেন্দ্রের জমিদারির অবসান ঘটাব। কথায় কথায় সেন্ট্রাল টিম, রেড, আমাদের ওপর রাগ থাকতেই পারে, কিন্তু মানুষের টাকা আটকালে চলবে না। তাহলে মানুষ জবাব দেবে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours