রাম মন্দিরের ইতিহাস কিন্তু সুদীর্ঘ। এমনই এক অজানা কাহিনি সামনে উঠে এল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা ভিকে বিশ্বনাথনের কথায়। তিনি জানান, ফৈজাবাদের তৎকালীন জেলাশাসক কেকে নায়ার না থাকলে, আজ রাম মন্দিরের ইতিহাস অন্য কিছু হত। 

RSS: দেশ স্বাধীনের পর এই ব্যক্তির জেদেই 'নিজের' জায়গা পেয়েছেন রামলালা: RSS নেতা

আলাপুজ্জ়া: রাত পোহালেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন (Ram Mandir Inauguration)। অযোধ্যা, যাকে ‘শ্রী রামের জন্মভূমি’ বলে মনে করা হয়, সেখানে তৈরি হয়েছে রাম মন্দির (Ram Mandir)। আগামিকাল, ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তি স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই রাম মন্দিরের ইতিহাস কিন্তু সুদীর্ঘ। এমনই এক অজানা কাহিনি সামনে উঠে এল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা ভিকে বিশ্বনাথনের কথায়। তিনি জানান, প্রাক্তন লোকসভার সাংসদ তথা ফৈজাবাদের তৎকালীন জেলাশাসক কেকে নায়ার (KK Nayar) না থাকলে, আজ রাম মন্দিরের ইতিহাস অন্য কিছু হত।

কী ঘটেছিল সেদিন?  
রাম মন্দিরের উদ্বোধনের প্রাক্কালে কেরলের আলাপুজ্জ়ায় হিন্দু ঐক্য বেদীতে আরএসএসের সভা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই আরএসএস নেতা ভিকে বিশ্বনাথন বলেন,১৯৪৯ সালে ফৈজাবাদের জেলাশাসক কেকে নায়ার তাঁর হাই-প্রোফাইল চাকরি ও বিলাসবহুল জীবনযাত্রা ত্যাগ করেছিলেন রাম মন্দিরের আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য।

১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে যখন বাবরি মসজিদের ভিতরে রামলালার বিগ্রহ পাওয়া যায়, তখন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থ রামলালার বিগ্রহ সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ মানেননি জেলাশাসক কেকে নায়ার। তিনি বিগ্রহ সরাতে অস্বীকার করেন। এরপর রাম জন্মভূমি আন্দোলনের জল অনেক দূর গড়িয়ে আজকের দিনে এসে পৌঁছেছে।


আরএসএস নেতা বিশ্বনাথন বলেন, “শঙ্করাচার্য থেকে শুরু করে কেকে নায়ার-এই নেতারা আজীবন ঐক্যবদ্ধ ভারতের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। অত্যন্ত দুঃখজনক যে তাঁরা নিজেদের রাজ্যেই যোগ্য স্বীকৃতি পাননি। নতুন ভারতের পথ নির্দেশ দিয়েছিলেন কেকে নায়ারের মতো নেতারা।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours