নিয়োগ নিয়ে এত অভিযোগ উঠেছে, যার দল খুঁজতে রীতিমতো হয়রান হচ্ছেন দুঁদে গোয়েন্দারাও। বছরভর চালানো হয়েছে তল্লাশি। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে।


ফিরে দেখা: দুর্নীতির অভিযোগে যে ভাবে ফালা ফালা হল তেইশ সাল
দুর্নীতির তালিকা


প্রতিদিন খবরের শিরোনামে ইডি অথবা সিবিআই তল্লাশি। আদালতে গুচ্ছ গুচ্ছ মামলা। ২০২২-এর পর ২০২৩-এও বছরভর শিরোনামে রইল দুর্নীতি। শিক্ষক নিয়োগ, পুর নিয়োগ থেকে রেশনের চাল-ডাল-আটা, দুর্নীতির অভিযোগের নিত্য নতুন সব তথ্য সামনে এসেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চুনোপুঁটি থেকে রাঘব-বোয়ালদেরও। । তাঁদের জেরা উঠে এসেছে আরও অনেক তথ্য়, যার তল খুঁজতে তৎপরতার সঙ্গে চলছে তদন্ত।

বছরভর দুর্নীতির অভিযোগের কোন কোন খবর নজরে রইল:

দুর্নীতির অভিযোগে নতুন নাম বাকিবুর রহমান


‘রেশন দুর্নীতি’ তদন্ত চলছিল অনেক দিন ধরেই। ২০২৩-এর অক্টোবরে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন বাকিবুর রহমান। রেশন দুর্নীতিতে বড় ভূমিকা আছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। তিন দিন ধরে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তিনটি চালকল, পানশালা, হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে একগুচ্ছ সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই সামনে এসেছে আরও সম্পত্তি। ইডি-র দাবি ১০০ কোটির বেশি টাকার সম্পত্তির মালিক বাকিবুর।

ইডি-র জালে বালু মল্লিক

২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে ধরা পড়লেন আরও এক মন্ত্রী। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শুধু মন্ত্রীই নন, তিনি শাসক দলের প্রথম সারির নেতাও বটে। রেশন দুর্নীতিতে যে বিপুল টাকা তছরূপ হয়েছে বলে অভিযোগ, তার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র সরাসরি যোগ থাকার প্রমাণ পায় ইডি। অক্টোবরের শেষে তাঁর বাড়িতে একটানা ২১ ঘণ্টা তল্লাশি চলে। এরপর মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

কাকু-র ‘কেলেঙ্কারি’

নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র হলেও দুর্নীতির খবরের শিরোনামে ‘কালীঘাটের কাকু’ নামেই তাঁকে চেনেন সবাই। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম শোনা গিয়েছিল বেশ কয়েকজনের মুখে। বারবার তাঁর ইডি বাড়িতে হানা দিলেও প্রথমদিকে ধরা হয়নি তাঁকে। পরে ধরা পড়ার পর সামনে আসতে থাকে একের পর এক তথ্য। তবে গ্রেফতার হলেও এখনও কার্যত ‘অধরা’ তিনি।

এসএসকেএম- এ চিকিৎসাধীন সুজয়কৃষ্ণের কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে ইডি-কে। এমনকী হাসপাতালে গিয়েও ফিরতে হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের।

গোয়েন্দাদের আতস কাচে পুরসভার নিয়োগ

বছরভর পুরোদমে চলেছে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। বছরের শুরুর দিকেই ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন অয়ন শীল নামে এক ব্যক্তি। পুরসভাগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। অয়নের গ্রেফতারির পর আরও বেড়ে যায় তৎপরতা। কামারহাটি, টিটাগড়, বরানগর সহ একাধিক পুরসভার কর্মীদের তলব করে ইডি। দফায় দফায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ।

নিয়োগে তল্লাশির পর তল্লাশি

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এত অভিযোগ উঠেছে, যার দল খুঁজতে রীতিমতো হয়রান হচ্ছেন দুঁদে গোয়েন্দারাও। বছরভর চালানো হয়েছে তল্লাশি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থা হানা দেয় বিধাননগরের কাউন্সিলর তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে। এমনকী বছর শেষেও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বাড়ি সহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours