ইডি সূত্রে পাওয়া খবর, তদন্তে সহযোগিতা করেছেন তিনি। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি যে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সেই সংস্থায় ডিরেক্টর হিসাবে তাঁর কী ভূমিকা ছিল, কীভাবে তিনি ডিরেক্টর হয়েছিলেন, 

কোনওভাবে তিনি আর্থিকবাবে লাভবান হয়েছিলেন কি না তাও জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ উঠেথে, প্রতারণার দু’কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন নুসরত। তা নিয়েও এদিন নুসরতকে নানা প্রশ্ন করা হয় বলে খবর।


কলকাতা: ফ্ল্য়াট প্রতারণা মামলায় সামনে এসেছিল তাঁর নাম। ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি (ED)। ৬ ঘণ্টা ২৯ মিনিটের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শেষ পর্যন্ত সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানকে (Nusrat Jahan)। এদিন সকাল ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেসে আসেন, বিকাল ৫টা ১১ মিনিট নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হতে দেখা যায়। তবে এদিন যেভাবে তিনি হাসতে হাসতে বেরিয়ে আসেন তাতে তাঁকে বেশ আত্মবিশ্বাসীও দেখায়। তবে তাঁকে ফের ডাকা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তবে তিনি এটা জানিয়েছেন, তাঁকে যে প্রশ্ন করা হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। 


অন্যদিকে ইডি সূত্রে পাওয়া খবর, তদন্তে সহযোগিতা করেছেন তিনি। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি যে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সেই সংস্থায় ডিরেক্টর হিসাবে তাঁর কী ভূমিকা ছিল, কীভাবে তিনি ডিরেক্টর হয়েছিলেন, কোনওভাবে তিনি আর্থিকবাবে লাভবান হয়েছিলেন কিনা তাও জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ উঠেছে, প্রতারণার দু’কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন নুসরত। তা নিয়েও এদিন নুসরতকে নানা প্রশ্ন করা হয় বলে খবর। ফ্ল্য়াট কেনার টাকার উৎস সম্পর্কিত যাবতীয় নথি নুসরত ইডির কাছে জমা দিয়েছেন বলে খবর। জমা দিয়েছেন আয়-ব্যয়ের হিসাব, ব্যঙ্ক ডিটেলস। সেই সমস্ত নথি দেখেই রাকেশ সিং ও রূপলেখা মিত্র সহ ওই সংস্থার বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন ইডির আধিকারিকার। তারপর ফের যদি নুসরতকে ডাকার প্রয়োজন হয় তাহলে তা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours