অঙ্কুরিত মুগ শরীরের জন্য খুবই ভাল। এই মুগের সঙ্গে শসা, পেঁয়াজ, বেলপেপার, গোলমরিচের গুঁড়ো, পেঁয়াজ কুচি, লেবুর রস, চাটমশলা, ধনে গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন আর ভাজা বাদাম মিশিয়ে নিন




ইদানিং হৃদরোগের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকখানিই বেড়েছে। বিশ্বের নিরিখে মোট মৃত্যুর অধিকাংশই হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। আর তাই হৃদয়ের যত্ন নেওয়া একান্ত জরুরি। আজকাল জীবন বদলেছে। সেই সঙ্গে বদলেছে আমাদের জীবনধারাও। নিয়মিত শরীরচর্চা কিংবা পুষ্টিকর খাবার খাওয়া কোনওটাই হয় না। বরং অনেক বেশি ফাস্ট ফুডে সকলে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। চটজলদি হাতের সামনে যা পাওয়া যাচ্ছে তাই মুখে চালান করে দিলেই হল। এতেই শরীরের উপর বেশি চাপ পড়ে। হার্ট ভাল রাখতে এবং সুস্থ থাকতে রোজ নিয়ম করে মরশুমি ফল, শাকসবজি, বিভিন্ন বীজ, গোটা শস্য, সামুদ্রিক মাছ, মাংস, মুসুরের ডাল, দুধ এসব খেতে হবে। তবে এক্ষেত্রে লো ফ্যাট দুধ খাওয়াটাই কিন্তু বাঞ্ছনীয়। খাবার থেকে চিনি, নুন, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, অতিরিক্ত ভাজা খাবার এসব যত বেশি এড়িয়ে যেতে পারবেন ততই মঙ্গল। প্রয়োজনে সিদ্ধ, সঁতে খাবার এসব বেশি করে খান।


আর তাই পুষ্টিবিদ মেঘনা পাসি দুটি হেলদি রেসিপির খোঁজ দিয়েছেন। নিয়মিত ভাবে এই সব খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। সেই সঙ্গে এড়ানো যাবে হার্টের সমস্যাও।

O
এক্ষেত্রে কালো পমফ্রেট নিতে পারলে সবচাইতে ভাল। মাছ খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার হলুদ, গোলমরিচের গুঁড়ো, নুন, লেবুর রস দিয়ে মাছ ম্যারিনেট করে রাখুন। এবার মাছ কলাপাতায় মুড়ে ৭-৮ মিনিট ভাপিয়ে নিতে হবে। এবার নারকেল তেল, নারকেলের দুধ, কারিপাতা, আদা-রসুনের পেস্ট, টমেটো পিউরি, সামান্য লঙ্কা বাটা, স্বাদমতো নুন আর সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে একটু কষিয়ে নিন। কষে এলে ভাপা মাছ মিশিয়ে দিন। এবার ক্যাপসিকাম, বেল পেপার, গাজর, পেঁয়াজের রিং গ্রিলড করে মাছের উপর সাজিয়ে দিন। পমফ্রেট মাছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। কোলেস্টেরল কমাতে যা খুবই সাহায্য করে। সেই সঙ্গে যে কোনও রকম হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।

অঙ্কুরিত মুগ

অঙ্কুরিত মুগ শরীরের জন্য খুবই ভাল। এই মুগের সঙ্গে শসা, পেঁয়াজ, বেলপেপার, গোলমরিচের গুঁড়ো, পেঁয়াজ কুচি, লেবুর রস, চাটমশলা, ধনে গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন আর ভাজা বাদাম মিশিয়ে নিন। তবে মুগ একদম কাঁচা খাবেন না। অঙ্কুরিত মুগ ভাপিয়ে নিয়ে তবেই খান। এই মুগের সঙ্গে গ্রেট করা গাজর, ভাজা মশলা গুঁড়ো এসব মিশিয়ে নিলে স্বাস্থ্যগুণও বাড়ে আর খেতেও বেশ ভাল হয়। এই স্যালাডের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। ব্রেকফাস্টে অথবা জলখাবারে খেতে পারলে খুবই ভাল। শরীরে হজম ক্ষমতা বাড়াতে, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে, প্রোটিনের পরিমাণ ঠিক রাখতে, ওজন কমাতে এবং ফোলেট ও ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours