২০১৯ সালে শিলিগুড়ির একটি স্কুলে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে কাজে যোগ দেন তিনি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তালিকা প্রকাশিত হতে কার্যত উধাও হয়ে যান সুমি।


ওএমআর (OMR) জালিয়াতিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি(SSC)প্রকাশিত তালিকায় ৪১৮ নম্বরে নাম রয়েছে সুমি গুপ্তা নামে এক শিক্ষিকার। ‘অন্যায় করিনি’ জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। ২০১৯ সালে শিলিগুড়ির একটি স্কুলে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে কাজে যোগ দেন তিনি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তালিকা প্রকাশিত হতে কার্যত উধাও হয়ে যান সুমি। স্কুল খুলতেই ফের হাজির। গোটা ঘটনায় বিব্রত প্রধান শিক্ষিকা।



সুমি গুপ্তা বলেন, “কে কী বলছে আমি জানি না। ফর্ম ফিলআপ করে প্রতিটি পদ্ধতি মেনে আমি আজকে এখানে। এবার উপর থেকে যদি কোনও নির্দেশিকা আসে আমি শুনব। প্রয়োজন পড়লে আইনি পথে যাব। আমি জানি আত্মবিশ্বাসী। আমি জানি কী পরীক্ষা দিয়েছি।এবার ওএমআর-এ কী গন্ডগোল হয়েছে বলতে পারব না।”

প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত ২৯ ডিসেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশন ৯৫২ জনের ওমএরআর তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় ৪১৮ নম্বরে নাম রয়েছে শিলিগুড়ির নেতাজি উচ্চ-বালিকা বিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা এই সুমি গুপ্তার।

সুমিদেবীর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে। এসএসসির প্রকাশিত ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে সুমি গুপ্তা মাত্র ২৩টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পেয়েছেন ৫৩। সূত্র বলেছে, যদি ২৩টি প্রশ্নেরই সবকটি উত্তরই তিনি সঠিক দেন তাহলেও তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৩ হতে পারে না। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ২৩ হওয়া উচিত ছিল ২৩। গোটা ঘটনায় বিব্রত স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রুম্পা সাহা। বলেন, ” নাম এসেছে শুনেছি। এখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যা নির্দেশ দেবে সেই অনুযায়ী কাজ করব।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours