এমনকি যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা নেই, তাদেরও এই ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। দিল্লির বাতাসের মান কিছুটা উন্নতি হলেও আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না।
শীত শুরু আগেই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে বায়ু দূষণের ভয়াবহ অবস্থায় পোঁছেছিল। বাতাসের মানের সূচক ৪০০-এর উপরে পোঁছে গিয়েছিল। বর্তমানে দূষণের মাত্রা কিছুটা কম হলেও বাতাসের মানের সূচকের তেমন হেরফের হয়নি। আর এই মারাত্মক দূষণই জনসাধারণের স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিষাক্ত বায়ু দূষণকারীর সংস্পর্শে এসে ফুসফুসের গুরুতর সমস্যার সম্ভাবনা প্রবল আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা নেই, তাদেরও এই ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। দিল্লির বাতাসের মান কিছুটা উন্নতি হলেও আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না।
২০১৯ সালে দেশে মোট মৃত্যু সংখ্যার মধ্যে ১১.৫ শতাংশ মৃত্য়ুর কারণ ছিল শ্বাসকষ্ট, কার্ডিওভাসকুলার ও ফুসফুসের অন্যান্য সমস্যা। রিপোর্ট অনুসারে, ভয়াবহ দূষণ যেখানে বিরাজ করছে সেখানে অধিকাংশের মধ্যে কাশি, ক্লান্তি ও শ্বাসনালীতে সমস্যার উপসর্গ দেখা যায়। বারবার এমন লক্ষণ দেখা হলে অবিলম্বে এই চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। কারণ এই ব্যাপারে উপেক্ষা করলে আখেরে ক্ষতির শিকার হবেন নিজেই।
রিপোর্ট অনুসারে, হাঁপানিতে আক্রান্তদের সংখ্য়া তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে ইনহেলার আগের তুলনায় ঘন ঘন ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে হাঁপানি রোগীদের। সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ হল একটি দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের ব্যাধি। ফুসফুস থেকে বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করার ফলে এই রোগ বেশ গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বায়ুতে ভাসমান বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক কণা বা গ্যাসের সংস্পর্শে ফুসফুসের বায়ুথলিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে। এর ফলে রোগীর মারাত্মক শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বায়ু দূষণের কারণে এই গুরুতর ব্যাধি এখন তুলনামূলকভাবে বেড়ে গিয়েছ। সারা বিশ্বে প্রায় ৩ কোটি মানুষের সিওপিডি অসুখ সনাক্ত করা গিয়েছে। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর কারণ হিসেবে এই সিওপিডি হল তৃতীয় কারণ।
সিওপিডি ঠেকাতে হলে প্রথমই সিগারেট-সহ সমস্ত ধূমপান বন্ধ করার প্রচেষ্টা নিতে হবে। শুধু তাই নয়, আপনার শরীরের জন্য কোনগুলি ক্ষতিকারক, তার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। এর ফলে সিওপিডি আক্রান্তের সংখ্যায় রাশ টানা সম্ভব হবে। সিওপিডির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল ধূমপান ও বায়ু দূষণ। যদি সিওপিডির লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে চিন্তার কারণ নেই। কারণ ওষুধ খেয়ে নয়, প্রাকৃতিকভাবে ফুসফুসের স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নত করা সম্ভব। ফুসফুস হল এমন একটি অঙ্গ যা দূষণকারীর সংস্পর্শ এড়াতে পারলেই নিজে থেকেই মেরামত করা শুরু করে দেয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours