পাকিস্তান ওকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে পাঠিয়েছে। পরের দিকে সমস্যা হলে অন্য় ব্যাটসম্যানরা থাকছে। সেই পরিকল্পনায় সফল হয়েছে পাকিস্তান। বাবর, রিজওয়ানের থেকে একটা অ্যাঙ্কর ইনিংসের প্রত্যাশা করা যায়। নওয়াজের ইনিংসটা ১৫-২০ রানের হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত।


এ বারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটের জয় দিয়ে শুরু করেছিল ভারত। সুপার ফোরের ম্যাচে ১৮১-৭ বিশাল স্কোর গড়েও হার। ম্যাচ প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে নানা দিক তুলে ধরলেন প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দীর্ঘদিন পর চেনা বিরাটকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বাইশগজে। মাঠের বাইরেই বা কী বললেন বিরাট?


ভারতীয় দলের অতি আগ্রাসী ক্রিকেটের পরিকল্পনার ফলে কি মিডল অর্ডারে বাড়তি চাপ পড়ছে?

একেবারেই নয়। আমাদের এই খেলার ধরণ সাফল্য দিচ্ছে। মিডল ওভারে রান রেটে উন্নতি হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়েছে, এই পরিকল্পনাই ধরে রাখা প্রয়োজন। সবসময় হয়তো প্রত্যাশিত ফল আসবে না। এই ম্যাচেই যেমন মিডল ওভারে বেশ কিছু উইকেট হারিয়েছি। এর ফলে আমরা ২০০-র লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। আমার এবং হুডার পর ভুবি ছিল। এরপর বোলাররা। কিছুটা হলেও পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। হাতে উইকেট থাকলে আরও কিছু রান করতে পারতাম। মিডল ওভারে উইকেট হারানোকে সমস্যা মনে করছি না। আমাদের খেলার ধরণ এমনই ধরে রাখতে চাই। এই চেষ্টায় বাড়তি ২০-২৫ রান এলে ভবিষ্যতে দলেরই সুবিধা হবে।

দীর্ঘদিন পর এত সুন্দর ব্যাটিং করলেন। সমালোচকদের কতটা জবাব দেওয়া গেল, আপনার অনুভূতি কী?

এসব বিষয় নিয়ে কোনও দিনই মাথা ঘামাইনি। প্রায় ১৪ বছর খেলছি। এমনই এতদিন খেলার সুযোগ পেয়েছি তা নয়। সবসময়ই নিজের খেলায় উন্নতির চেষ্টা করেছি। দলের জন্য় অবদান রাখার চেষ্টা করেছি এবং আগামীতেও সেটা করব। প্রত্যেকেই নিজেদের কাজ করছে। আমাদের কাজ খেলা। পরিশ্রম করা, মাঠে নেমে ১২০ শতাংশ দেওয়া। যতদিন সেটা করতে পারছি, দল আমার উপর ভরসা করছে, অন্য কিছু ম্যাটার করে না। প্রত্যেকেই মতামত দিতে পারেন। তাতে আমার ভালো থাকা নির্ভর করে না। খেলা থেকে অনেকটা বিরতি নিয়েছি। মানসিকভাবে অনেক তরতাজা হয়ে ফেরার সুযোগ পেয়েছি। জীবনটা শেষ হয়ে যায়নি। খেলাটা উপভোগ করতে চাই। নিজের উপর চাপের বোঝা বাড়াতে চাই না। আমি পুনরায় ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা ফিরে পেয়েছি। দলের পরিবেশ, সকলের মধ্যে বোঝাপড়া অনবদ্য। এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি।

ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা বলে আপনি মনে করেন?

আমার মতে মহম্মদ নওয়াজের ইনিংস। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এই ইনিংসটাই (২০ বলে ৪২ রান)। পাকিস্তান ওকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে পাঠিয়েছে। পরের দিকে সমস্যা হলে অন্য় ব্যাটসম্যানরা থাকছে। সেই পরিকল্পনায় সফল হয়েছে পাকিস্তান। বাবর, রিজওয়ানের থেকে একটা অ্যাঙ্কর ইনিংসের প্রত্যাশা করা যায়। নওয়াজের ইনিংসটা ১৫-২০ রানের হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। একই স্টাইলে ব্যাটিং করেছে। ওর ইনিংসটার জন্যই আমাদের উপর অনেকটা চাপ পড়েছে।

এখানকার পিচে আগে-পরে ব্যাটিং। দুই অভিজ্ঞতাই রয়েছে। পার্থক্য কী…

আগে-পরে ব্যাটিংয়ে কোনও পার্থক্য হয়নি। পিচ শুরু থেকেই মন্থর ছিল। নওয়াজের ইনিংসের পরও ওদের কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছতে সমস্যা হয়েছে। আমার মতে, পিচ নয়, চাপটাকে কে কতটা ভালোভাবে সামলাতে পারছে, সেটাই আসল। সঠিক সময়ে ওরা ভালো খেলেছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours