বিধানসভা থেকে পৌরসভা, একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটেছে। হালফিলে কিছুটা হলেও ভরসা জুগিয়েছে নন্দীগ্রাম। সমবায় নির্বাচনে সেখানে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া গিয়েছে। তাই এ বার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Elections 2023) পাখির চোখ করছে বিজেপি (BJP)। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে আদিবাসী ভোট ধরে রাখতে তৎপর তারা। বুধবার দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সফরে তারই ইঙ্গিত চোখে পড়ল। 

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি-র নজরে আদিবাসী ভোট

বর্তমানে জলপাইগুড়ি সফরে রয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ। দলীয় কর্মীদের নিয়ে বুধবার সেখনে চা-বাগানে গিয়ে উপস্থিত হন তিনি। সেখানে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। নবান্ন অভিযান আসা বিজেপি কর্মীদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবরও নেন। 

এ দিন, জলপাইগুড়ির গাজলডোবার পাথরবঝোরা, ডামডিম এবং বেদগুড়ি চা বাগানে যান দিলীপ। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা বিজেপি-র সভাপতি বাপি গোস্বামী এবং অন্য় নেতারা। চা-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সুবিধা-অসুবিধা, দাবি-দাওয়া জানতে চান।

গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে ভোট দেয়নি চা বলয়। তার একটি বড় অংশের ভোট চলে গিয়েছিল বিজেপি-র দিকে। সেই কারণে আদিবাসী ভোট পেতে চলতি মাসের ১১ তারিখে মালবাজারে উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার আদিবাসীদের নিয়ে একটি জনসভা করেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম বোঝেন না তিনি। একটাই বাংলা বোঝেন তিনি। আজ সেই মালবাজার এলাকার দু'টি চা বাগানে গিয়ে দলীয় কর্মী এবং সাধারণ চা-শ্রমিকদের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক করেন দিলীপ।

দিলীপকে অভাব-অভিযোগ জানালেন চা-শ্রমিকরা

চা-বাগানের মানুষের সমস্যার কথা শোনার পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন কি না, সেটাও শোনেন দিলীপ। শ্রমিকরাও তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন দিলীপের কাছে। অভিযোগ করা হয় যে, একটি বিদ্যালয় থাকলেও সেটি নাকি তিন বছর বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে! হাসপাতালে কোনও ভালো চিকিৎসক নেই, পড়াশোনা করতে ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে মালবাজারে ছেলেমেয়েকে যেতে হয় বলে দিলীপকে জানান চা-শ্রমিকরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours