Case:মঙ্গলবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের আইনজীবী হাইকোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন,কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক।

: কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক। সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায়, কলকাতা হাইকোর্টে আর্জি জানালেন মহম্মদ সেলিম (Md. Salim) ও তন্ময় ভট্টাচার্যর (Tanmoy Bhattacharya) আইনজীবীরা। যাকে দিয়ে খুশি তদন্ত করাক, কাগজ কথা বলবে। মন্তব্য সম্পত্তি মামলায় নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী।

সিপিএমের অবস্থান স্পষ্ট: গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে CBI-এর আতসকাচের তলায় অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি। এই প্রেক্ষাপটে, আরও একটি বিষয়ের দিকেও নজর রয়েছে সবার। কার কত সম্পত্তি বেড়েছে? শাসকদলের নেতাদের না বিরোধীদের? হাইকোর্টে সম্পত্তি সংক্রান্ত জোড়া মামলাকে কেন্দ্র করে, এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে, মঙ্গলবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের আইনজীবী হাইকোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা। এর কোনও ভিত্তি নেই। আমরা সেদিনই বলেছিলাম। আমাদের আইনজীবী বলেছেন যে কোনও তদন্ত হোক, জাতীয়-আন্তর্জাতিক যা পারে হোক। তৃণমূলের মন্ত্রীরা গেছেন যদি ইডি না হয়। বিজেপির নেতারা হয়ত বলছেন, আমরা কিছু পাইনি। কোনও অসুবিধা নেই, নিরপেক্ষ যে কোনও সংস্থা পারলে করুক। যারা মামলা করেছে, তারা যেন প্যান্টের দড়ি শক্ত করে আসেন। খুলে না যায়।’’

২০১৭ সালে দায়ের একটি মামলায়, সম্প্রতি ইডি-কে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলায় সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সহ ১৯ জন হেভিওয়েটের নাম রয়েছে। এই নিয়ে নানা জল্পনার মধ্যেই গত ১৮ অগাস্ট, ১৭ জন বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে অল্প সময়ে বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে, নতুন একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। তাতে শিশির ও শুভেন্দু-সহ অধিকারী পরিবারের ৩ সদস্য, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য, রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের নামও আছে।

এই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও তন্ময় ভট্টাচার্যর আইনজীবীরা জানিয়ে দেন,  তাঁদের মক্কেলরা তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছেন। সম্পত্তির খতিয়ান আগেও দেওয়া হয়েছে, আবারও দিতে অসুবিধা নেই। তবে কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত হোক। এখন সিপিএম নেতারা তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ার পর, প্রশ্ন উঠছে বাকি দলের নেতারা কী করবেন? সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে ২০১৭ সালে দায়ের মামলায় ইডি-কে পক্ষ করার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের তিন হেভিওয়েটমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ রায়।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours