করোনার হাত থেকে বাঁচতে যে যার মতো ওষুধ মজুত করছেন বাড়িতে। জেলা জুড়ে কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে প্যারাসিটামল, ডক্সিসাইক্লিন ও নানারকম অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধের চাহিদা। অল্প সর্দি কাশি হলেই অনেকে ওষুধ খেয়ে ফেলছেন ভয়ে। যার ফলে দেখা দিচ্ছে ওষুধ সংকট।


এদিকে বাজার থেকে সব ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় আসল করোনা রোগীরাই অনেকসময় ওষুধ পাচ্ছেন না। জ্বর হলে দোকানে প্যারাসিটামল পাচ্ছেন না কেউ। এই পরিস্থিতিতে সংকট এড়াতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিচ্ছে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট
অ্যাসোসিয়েশন। করোনার প্রথম ঢেউ ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে যে ধরনের ওষুধ ব্যবহার হয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে সেগুলি ততটা কার্যকরী নয় বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অধিকাংশ চিকিত্‍সক এবার করোনা বা ওমিক্রনের চিকিত্‍সায় ভরসা রাখছেন প্যারাসিটামলেই। পাশাপাশি অধিকাংশ করোনা আক্রান্তকে ডক্সিসাইক্লিন, অ্যান্টি এলার্জিক ও ভিটামিন সি খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা। এই পরিস্থিতিতে শুধু করোনা আক্রান্তরা নয়, বাকিরাও বাড়িতে মজুত করতে শুরু করেছেন এই ওষুধগুলি। ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিডিএ) তরফে জানানো হয়েছে, গত দু'সপ্তাহে এই ওষুধগুলির চাহিদা বেড়েছে দশ গুণেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে ওষুধের অতিরিক্ত জোগান না থাকায় বাজারে ওষুধগুলির সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিসিডিএ। সেই পরিস্থিতি এড়াতে জেলার প্রতিটি খুচরো ওষুধের দোকানকে বিনা প্রেসক্রিপশনে প্যারাসিটামলের মতো সাধারণ ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিসিডিএ। পাশাপাশি ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলিকে প্যারাসিটামলের মতো ওষুধের জোগান বৃদ্ধির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours