শান্তিপুর : নদিয়ায় ফের পথ দুর্ঘটনা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক জনের। পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। তাঁদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর ফুলিয়ার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। সঙ্গে সঙ্গে আহতদের নিয়ে আসা হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।সেখান থেকে পাঁচ জনকেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। মৃতের নাম সঞ্জয় বিশ্বাস (১৭)। মৃতের বাড়ি শান্তিপুর গবাচর এলাকায়।

বিয়ে বাড়ি থেকে ভাইকে সঙ্গে করে মোটর বাইকে করে ফিরছিল ওই কিশোর। তখনই তাদের বাইকের ধাক্কা মারে। সূত্র মারফত জানা যায়, ফুলিয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে হঠাত্‍ই একটি ট্রাক চালক বেপরোয়াভাবে একের পর এক মানুষকে ধাক্কা মারতে থাকে। রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে একাধিক মানুষ। তাদেরকে উদ্ধার করে শান্তিপুরের হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা ও পুলিশ।

ঘাতক গাড়ির চালককে আটক করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। মদ্যপ অবস্থায় এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানা পুলিশ। ইতিমধ্যে শান্তিপুর হাসপাতালে এসে পৌঁছায় শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। প্রত্যেক আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও আশঙ্কাজনক ব্যক্তিদের তড়িঘড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে নদিয়ার ভীমপুর থানার শাকদা মোড়ের নতুন পাড়াতে অন্য একটি পথ দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক জন। আহত ব্যক্তির চিকিত্‍সা চলছে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। অটোর সঙ্গে বাইসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের সময় অটোতে দুই জন পুরুষ ও দু’জন মহিলা যাত্রী ছিলেন। বাইসাইকেল হঠাত্‍ করে অটোর সামনে আসলে অটো চালক সাইকেলটিকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে। আর ঠিক তখনই অটো চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে।

ঘটনাস্থলে যায় ভীমপুর থানার পুলিশ এবং আহত ব্যক্তিদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিত্‍সারত অবস্থাতেই একজন মারা যান বলে জানা যায়। তবে মৃতের নাম ও পরিচয় এখনও অবধি সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নবদ্বীপের কৃষ্ণনগরে এক পথদুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন এক সাইকেল আরোহী। মৃতের নাম হাজিবুল শেখ। সকালবেলায় বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে কাজে বেরিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপরই দ্রুতগতিতে আসা একটি লরি ধাক্কা মারে তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই সাইকেল আরোহীর।

এভাবে একের পর এক দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ জমছে স্থানীয়দের মনে। মুখ্যমন্ত্রী ঘটা করে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ শুরু তো করেছেন, কিন্তু তার কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশ যদি আর একটু তত্‍পর হয়, তাহলে এই ধরনের পথ দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours