ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ( cryptocurrency) বিনিয়োগের মাধ্যমে বিরাট আর্থিক মুনাফার (financial gain) বিভ্রান্তিকর প্রতিশ্রুতি ঘিরে উদ্বেগ (concern) ছড়ৃাচ্ছে। কী করা উচিত, সে ব্যাপারে শনিবার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)।বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, যুবকদের বিরাট স্বপ্নের হাতছানি দেওয়া অস্বচ্ছ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিপথে চালানোর চেষ্টা রুখতে হবে। কঠোর ব্যবস্থা (stern action) নেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। এধরনের অনিয়ন্ত্রিত বাজারকে (unregulated market) বেআইনি লেনদেন, সন্ত্রাসে অর্থ ঢালার (terror financing)রাস্তা হয়ে উঠতে দেওয়া চলবে না বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র। একটি সূত্র বলেছে, সরকার এব্যাপারে অবহিত যে, এটা একটা বিকাশমান প্রযুক্তি। সরকার এর দিকে কড়া নজর রাখবে, প্রোঅ্যাক্টিভ ব্যবস্থা নেবে। সরকার ইতিবাচক, সামনের দিকে এগিয়ে চলার পদক্ষেপ করবে বলেও বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছে। সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞ ও অন্য সংশ্লিষ্ট মহলগুলির সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলবে সরকার। যেহেতু বিষয়টি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ নয়, তাই বিশ্বব্যাপী বোঝাপড়া ও সঙ্ঘবদ্ধ কৌশল নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সূত্রটি বলেছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ ব্যাপারে বিস্তারিত মতামত বিনিময় ও দেশের,বাইরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আলোচনা করেছে। সুতরাং গোটা বিষয়টি একটা আলাপ আলোচনা প্রক্রিয়ার ফল। বিশ্ব স্তরে যেসব দৃষ্টান্ত আছে, সেগুলি নিয়েও কথা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে জোরালো মতের পুনরাবৃত্তি করে সাফ বলেছে, ওটা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও সমষ্টিগত অর্থনীতির সামনে বিরাট বিপদ। কতজন বিনিয়োগকারী ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছে, যে বাজারমূল্য দাবি করা হচ্ছে,তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে সামনের মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট বেরনোর কথা। তার আগে বুধবারও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ক্রিপ্টোকারেন্সি অনুমোদনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে জানান, তা যে কোনও অর্থ ব্যবস্থার সামনেই মারাত্মক বিপদ কেননা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তার ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রসঙ্গত, ২০২০ র মার্চে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষিত সার্কুলার বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ডিজিটাল মুদ্রার কোনও মডেল সুপারিশ করতে একটি অভ্যন্তরীণ প্যানেল গঠন করে। বিটকনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির রমরমার মুখে গভীর উদ্বিগ্ন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, তারা একটি সরকারি ডিজিটাল কারেন্সি চালু করতে চায়। প্রাইভেট ডিজিটাল কারেন্সি বা ভার্চুয়াল কারেন্স বা ক্রিপ্টোকারেন্সি গত এক দশকে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তা নিয়ে সংশয়, দ্বিধা রয়েছে সরকার, নিয়ন্ত্রকদের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours