রেশনকার্ডের (Ration Card) সঙ্গে আধার লিঙ্ক করাতে গিয়েই ‘বিপত্তি’! প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই রেশনকার্ডের সঙ্গে আধারলিঙ্ক করানোর অভিযোগ উঠল এক বেসরকারি সংস্থার কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রশাসনিক বৈধতা ছাড়াই আধার লিঙ্ক করানোর নামে আসলে প্রতারণা করেছেন ওই কর্মী। বুধবার, কাটোয়ার ১ নম্বর ব্লকের সুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রেশনকার্ডের (Ration Card) সঙ্গে আধার লিঙ্ক করানো হবে জেনে এদিন মোস্তাফাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন তাঁরা। সেখানে অর্ধেন্দু দাস নামে বেসরকারি সংস্থার এক কর্মী আধার লিঙ্ক করানোর কাজ করছিলেন।

সেই জন্য প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপ দিয়ে দেন অনেকে। আচমকাই এক গ্রামবাসীর ফোনে ব্লক প্রশাসন জানতে পারেন প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া কেউ একজন মোস্তাফাপুর গ্রামে আধার লিঙ্কের কাজ করছে। সঙ্গে সঙ্গে কাটোয়া মহকুমা খাদ্য দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামের রেশন ডিলারকে মেসেজ করে আধারলিঙ্কের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় গ্রাম পঞ্চায়েতকেও।

গ্রামের উপপ্রধানের কথায়, “এর আগে একবার প্যানকার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করানোর নামে গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করে দেড়শো টাকা করে হাতিয়েছিল এক যুবক। এও যে সেই চিটিংবাজি করবে না তা কী করে জানব! আমরা তো জানতামই না যে এমন কোনও কাজ আজ হচ্ছে। খবর পেয়ে এসে শুনেই কাজ বন্ধ করিয়েছি।” ঘটনায়, স্থানীয় এক গ্রামবাসী ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “আধার লিঙ্ক করানো হবে বলে এসেছিলাম। এখন শুনছি বিনা অনুমতিতে নাকি এসব হচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে এসে বেরিয়ে যেতে হল। ওরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এমন হয়রানির কোনও মানে হয়!”

যদিও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওই বেসরকারি সংস্থার কর্মী অর্ধেন্দু দাস জানিয়েছেন, তাঁর কোনও অসত্‍ উদ্দেশ্য নেই। তাঁর সংস্থার সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনামাফিকই তাঁকে এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। তাই এ বিষয়ে যা কথা বলার তা ওই সংস্থাই বলবে

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours