রবিবার সকাল থেকেই কক্সবাজার ও উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ যা মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার ও উত্তর মায়ানমার উপকূলে ব্যাপক ভাবে অতিক্রম করতে পারে।

Cyclone Mocha: কক্সবাজার কাঁপাচ্ছে ‘মোখা’, বাংলাদেশে শুরু হয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উত্তাল বাংলাদেশের উপকূল এলাকা
কক্সবাজার: মহাশক্তি নিয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এখন বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলে ইতিমধ্যে আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি মায়ানমার উপকূলেও তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে মোখা। এর প্রভাবে কক্সবাজার ও রাখাইনসহ উত্তর মায়ানমারের কয়েকটি রাজ্যে হচ্ছে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস বইছে। রবিবার সকাল থেকেই কক্সবাজার ও উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ যা মায়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার ও উত্তর মায়ানমার উপকূলে ব্যাপক ভাবে অতিক্রম করতে পারে। আজ সকাল ৮টায় আবহাওয়া দফতরের ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর এখন উত্তাল। এটি ক্রমশ বাংলাদেশের উত্তর-উত্তরপূর্ব উপকূলে ধেয়ে আসা শুরু করেছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। সেই গতিবেগ ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।


বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্য ও কাছাকাছি এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল এটি। এদিকে, এরআগেই গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বাংলাদেশ উপকূলের কাছে বাংলাদেশে মোখার গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। তার আগেই বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এলাকা ও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করে।


উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতর আরো জানায়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours