প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় স্রেফ ১৩.৮৬৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে কীভাবে বিডিও হলেন প্রশান্ত বর্মন? এই প্রশ্নই করছেন আন্দোলনকারীরা।
PSC Scam: ফাইনাল পরীক্ষায় বসার যোগ্যতাই নেই, তিনিই হয়ে গেলেন WBCS পরীক্ষায় প্রথম! PSC-তেও দুর্নীতির অভিযোগপাবলিক সার্ভিস কমিশন
কলকাতা: এসএসসির খেলা পিএসসিতেও, দুর্নীতি কি সর্বত্র? ফাঁকা OMR, গাদা গাদা নম্বর, নেপথ্যে টাকা আর টাকা। এই ছিল SSC নিয়োগ দুর্নীতির অ আ ক খ। তবে সরকারি চাকরির বিক্রি বাটোয়ারা, শুধু এই গণ্ডির মধ্যে আবধ্য নেই। পরিধি বিস্তর। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, অশিক্ষক কর্মী তো ছিলই, এবার নবতম সংযোজন সরকারি আমলারা। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চাকরিতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের। প্রশান্ত বর্মন নামে এক ব্যক্তির চাকরি নিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, OMR বিকৃত করে নম্বর বাড়ানো হয়েছে PSC-তেও। তাই তদন্ত প্রয়োজন। একটি RTI রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন তাঁরা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় স্রেফ ১৩.৮৬৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে কীভাবে বিডিও হলেন প্রশান্ত বর্মন? এই প্রশ্নই করছেন আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, পাবলিক সার্ভিক কমিশন মূলত সরকারি আমলা নিয়োগ করে। বিডিও, এসডিও-সহ প্রশাসক পদে নিয়োগ করে পিএসসি। কিন্তু এই পিএসসি-তেও নিয়োগের ক্ষেত্রে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। পিএসসি আন্দোলনকারী ইন্দ্রজিত ঘোষ বলেন, “২০১৭ সালে WBCS পরীক্ষায় যে ছেলেটা প্রথম হয়েছে, তাঁর নাম প্রশান্ত বর্মন, এখন কালচিনি ব্লকের বিডিও, তাঁর আরটিআই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৩ পেয়েছিলেন। অর্থাৎ ফাইনাল পরীক্ষায় বসার মতো তাঁর কোনও যোগ্যতাই ছিল না। ২০১৬-র একাধিক বিডিও, যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।” তিনি জানান, আন্দোলন চলছে, যাতে প্রত্যেকের নম্বর প্রকাশ করা হয়, তার দাবি জানানো হচ্ছে।
Abhishek Banerjee: লক্ষ্য পঞ্চায়েত, সব জেলার কোর টিমকে ভোকাল টনিক দিকে ভার্চুয়ালি বসছেন অভিষেক
যদিও বিডিও প্রশান্ত বর্মন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এখন সবটাই আদালতের ওপর। সোমবারই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সামনে ওঠার কথা এই মামলার। তাহলে আবারও দুর্নীতির ‘প্যান্ডোরা’ খুলতে চলেছে। সরকার এক্ষেত্রে আবার কোন যুক্তি খাঁড়া করে, সেটাই দেখার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours