দইজোড়ে পরিবারের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। সেই পারিবারিক ব্যবসা থেকেই আসে যাবতীয় খরচ খরচা।


আদিম যুগে সভ্যতার বিকাশে দলবদ্ধ ভাবেই বসবাস করত মানুষ। কিন্তু যত দিন গিয়েছে তত গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। একান্নবর্তী পরিবার কয়েক দশক আগেও খুব সাধারণ ব্যাপার ছিল। কিন্তু এখন তা খুঁজে পাওয়া দায়। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির চলই এখন সর্বত্র।সেই যুগেরই এক যৌথ পরিবারের ছবি সামনে এসেছে। সেই বৃহৎ পরিবারের ছবি দেখে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। জানা গিয়েছে, এক ছাদের তলায় থাকেন ওই পরিবারের ৭২ জন। এক সঙ্গেও চলে খাওয়া–দাওয়া উৎসবে মাতা। রোজ ওই পরিবারের যে পরিমাণ খাবার লাগে তাও অবাক করেছে নেটিজেনদের।


জানা গিয়েেছে, মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে থাকে ওই পরিবার। দইজোড়ে পরিবারের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। সেই পারিবারিক ব্যবসা থেকেই আসে যাবতীয় খরচ খরচা। জানা গিয়েছে, ওই দইজোড়ে পরিবার আসলে কর্নাটকের বাসিন্দা। প্রায় ১০০ বছর আগে তাঁরা আসেন মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে। সেখানেই শুরু করেন ব্যবসা। সেই পরিবারে এখন সদস্য সংখ্যা ৭২। বয়স্ক, মাঝবয়সি, ছোট সবই রয়েছে সেই পরিবারে। এই সদস্যদের জন্য রোজ লাগে ১০ লিটার দুধ। এবং প্রতি বেলায় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার সব্জি লাগে।



অনন্ত রূপানাগুড়ি নামের এক টুইঠার ইউজার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেই ভিডিয়োতেই উঠে এসে সোলাপুরের এই পরিবার। ওই পরিবারের এক সদস্য অশ্বিন দইজোড়ে বলেছেন, “আমাদের বিশাল পরিবার। সকাল ও সন্ধ্যায় খাওয়ার জন্য আমাদের ১০ লিটার দুধ রোজ লাগে। সকলে এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করি আমরা। সেই খাওয়া দাওয়ার জন্য প্রতি বেলায় হাজার টাকারও বেশি সব্জি কিনতে হয়। ননভেজ খাবার তৈরিতে আরও তিন–চার গুণ বেশি খরচ হয়।” ওই পরিবারের বিয়ে করে আসা মহিলারা জানিয়েছেন, শুরুতে পরিবারের আকার দেখে ভয় লেগেছিল তাঁদের। কিন্তু এখানে এসে সুন্দর ভাবে মানিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। নয়না দইজোড়ে নামের সেই বাড়ির এক বধূ বলেছেন, “প্রথমে আমি খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে আসার পর সকলে আমাকে খুব সহযোগিতা করেছে। আমি খুব সুন্দর মানিয়ে নিয়েছি। এত জনের সঙ্গে থাকার মজাই আলাদা।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours