একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো মানেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো। তিনিই এই পুজোর প্রাণপুরুষ।
পুজোর প্রাণপুরুষ সুব্রত মুখোপাধ্যায় নেই। শোকস্তব্ধ একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো কর্তারা। সে কারণে নবান্নের প্রস্তাব ফেরালেন তাঁরা। এই প্রথম একডালিয়া এভারগ্রিন পুজো কমিটি বিসর্জনের কার্নিভালে অংশ নিচ্ছে না। বৃহস্পতিবারই বাজা কদমতলা ঘাটে বিসর্জন একডালিয়ার প্রতিমার। চিঠি দিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তা তারা জানিয়েছে।

একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো মানেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো। তিনিই এই পুজোর প্রাণপুরুষ। গত বছরও পুজোর সময় তাঁকে ঘিরে কত হইহই। এ বছর সুব্রত মুখোপাধ্যায় পার্থিবভাবে নেই ঠিকই। তবে প্রয়াত এই নেতার উপস্থিতি ভীষণভাবে অনুভব করেছে একডালিয়া এভারগ্রিন। পুজো প্যান্ডেলে ঢোকার মুখেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একটা বড় ছবি রাখা হয়েছিল। তাতে লেখা, ‘এত আনন্দ আয়োজন, সবই বৃথা তোমায় ছাড়া’।

রাজ্য সরকার কয়েক বছর ধরে বিসর্জনের যে কার্নিভাল করছে তাতে প্রতিবারই অংশ নিয়েছে একডালিয়া এভারগ্রিন। সুব্রত মুখোপাধ্যায় নিজে থেকেছেন সেই কার্নিভালে। কিন্তু এবার ‘দাদা’ই যে নেই। তাই আর কার্নিভালে মন নেই একডালিয়ার পুজো উদ্যোক্তাদের। এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা স্বপন মহাপাত্র জানিয়েছেন, মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, এবার তাঁরা শোকস্তব্ধ হওয়ায় কার্নিভালে অংশ নিচ্ছেন না।

প্রসঙ্গত, একডালিয়া এভারগ্রিনের প্রতিমা একটাই বড় হয় যে তাকে প্রথমে ট্রেলারে করে আনা হয়। এরপর গঙ্গার ঘাট অবধি ক্রেনে করে এনে সেখান থেকে পে লোডারে গঙ্গায় নিয়ে যেতে হয়। শহরজুড়ে যখন থিমের পুজোর ছড়াছড়ি সেখানে একডালিয়া বিশ্বাস করে সাবেকি প্রতিমা ছাড়া পুজোই জমে না। সুব্রত মুখোপাধ্যায় নিজেও সেটাই মানতেন। শত থিমের মাঝে এটাই একডালিয়ার ইউএসপি। পুজোর চারটে দিন সবসময় প্যান্ডেলে থাকতেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours