শুক্রবার বিকেলে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত-১ কৃষ্ণনগর গ্রামে ১২৩, ১২৪ ও ১২৫ নম্বর বুথে বিজেপির বুথ সশক্তিকরণ অভিযান ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

বৃহস্পতিবারই কলকাতায় এক মিছিল থেকে সরব হয়েছিলেন মহিলা তৃণমূলের সদস্যরা। সিবিআই, ইডির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা বলেছিলেন, যেখানেই অবিজেপি সরকার রয়েছে সেখানেই প্রতিহিংসার রাজনীতি হচ্ছে। একইসঙ্গে সমবায় ‘দুর্নীতি’ নিয়েও নাম না করে অধিকারীদের দিকে আঙুল তোলেন চন্দ্রিমা। বলেন, “সমবায়ের যিনি আদি কর্তা বলে নিজেকে দাবি করেন, তাঁর কী আছে সেটা দেখতে হবে।” শুক্রবার পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০১৬ সালে ঘাড় ধাক্কা মেরে দমদমের লোক হারিয়ে সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্যকে জিতিয়েছিল। আমার হাত পা ধরে এখানে এসেছিল। একটা পতাকা নিয়ে এসেছিল। যে ঘরে থাকতেন ভাড়াটাও তো আমি দিতাম। ডাল, ভাত, জলের বোতলটাও আমি কিনে পাঠিয়েছিলাম বলে ওই হেরো এমএলএ পরে মন্ত্রী হয়েছে। লজ্জা থাকা উচিৎ।” একইসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, কেউ যদি চান তাঁর নাম নিয়েই কথা বলতে পারেন।

শুক্রবার বিকেলে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত-১ কৃষ্ণনগর গ্রামে ১২৩, ১২৪ ও ১২৫ নম্বর বুথে বিজেপির বুথ সশক্তিকরণ অভিযান ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে দুর্নীতি প্রসঙ্গ উঠতে শুভেন্দু বলেন, “এটা আইনি বিষয়। আদালত দেখছে। এ নিয়ে আমি কিছু বলব না।”

অন্যদিকে হলদিয়ার তৃণমূল নেতা কমলেশ চক্রবর্তীও এই দুর্নীতি নিয়ে দাবি করেন, তাঁদের দলে এক সময় ছিলেন, যিনি এখন অন্য দলে গিয়েছেন, তিনিই সমস্ত দুর্নীতির মাথা। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর জবাব, “নাম করেই বলুন না। উনি তো কাচের ঘরে বসে ঢিল মারছেন। তৃণমূলের চোরগুলো সব চাকরি পেয়েছে। ওনার ভাইপোও তো চাকরি পেয়েছেন।”



প্রসঙ্গত, তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় একটি অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেন মামলাকারীরা। সেই মামলায় উঠে আসে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম। মন্ত্রী বা ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ অনেককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, ৫২ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ব্যাঙ্কের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৩৪ জনের নিয়োগ হয়। অভিযোগ, শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত নিয়োগ হয়েছে। এ মামলা বিচারাধীন।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours