এনডিএমের তথ্য বলছে, পাকিস্তানে চলতি অগস্টে ১৬৬.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ২৪১ শতাংশ বেশি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সিন্ধ ও বালুচিস্তান।

ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি পাকিস্তানে। এখনও অবধি ৯০০ জনের উপরে মারা গিয়েছেন। এরমধ্যে ৩৪৩ জন শিশুও রয়েছে। ৩ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। পানীয় জল, এক মুঠো খাবারের জন্য হাহাকার চলছে সে দেশে। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যে পাকিস্তান সরকার জাতীয় এমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ১২৬ জন।

এই বন্যা পরিস্থিতি সবথেকে বেশি ভয়াবহ সিন্ধ প্রদেশে। সেখানেই ৩০৬ জন মারা গিয়েছেন। চলতি বর্ষার মরসুমে বালুচিস্তানে মারা গিয়েছেন ২৩৪ জন। পঞ্জাবের দিকে মারা গিয়েছেন ৩০০ জনের উপরে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মারা গিয়েছেন ৩৭ জন। গিলগিট বাল্টিস্তানে বহু মানুষ এই দুর্যোগের বলি হয়েছেন।সে দেশের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কেবলমাত্র অগস্ট মাসেই সে দেশে বৃষ্টি হয়েছে ১৬৬.৮ মিলিমিটার। অত্যাধিক পরিমাণে বৃষ্টির কারণে দেশের দক্ষিণপ্রান্তে বন্যা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সিন্ধের ২৩টি জেলাকে ‘বিপদপ্রবণ’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী শেরি রহমান জানান, সরকার ‘ওয়ার রুম’ তৈরি রেখেছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার জন্য সবরকমভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এনডিএমের তথ্য বলছে, পাকিস্তানে চলতি অগস্টে ১৬৬.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ২৪১ শতাংশ বেশি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সিন্ধ ও বালুচিস্তান। মৌসুমি বন্যা ৭৮৪ এবং ৪৯৬ শতাংশ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বন্যা কবলিত পাকিস্তানকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। একদিকে অর্থসঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান, তাতে আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে নেমে এসেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। লড়াই ক্রমশ কঠিন হচ্ছে শরিফ সরকারের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours