করোনাকালে বন্ধ স্কুল। পঠন-পাঠনে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, রাজ্য সরকারের তরফে সকল একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ট্যাব যাদের কাছে পৌঁছয়নি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ট্যাবের টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই টাকা দিয়ে ট্যাব কিনে রসিদ জমা দিতে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। কিন্তু, সরকার প্রদত্ত এই ট্যাবের টাকা না পাওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি চন্দ্রগতি হাইস্কুলে।

স্কুলের ১১ জন পড়ুয়ার অভিযোগ, স্কুলের মোট ১২৬ জন পড়ুয়ার নাম নথিভুক্ত করার কথা প্রধান শিক্ষকের।

কিন্তু, প্রধান শিক্ষক সকলের নাম দিলেও ওই এগারোজন পড়ুয়ার নাম জমা দেননি বলে অভিযোগ। ফলে, বরাদ্দ টাকাও পায়নি ওই পড়ুয়ারা। কেন নাম জমা পড়েনি সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান প্রধান শিক্ষক বলে অভিযোগ। শেখ জুলফিকর হাসান নামে দ্বাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়ার কথায়, “আমাদের এগারোজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্য শিক্ষকরা বলেছেন আমাদের নাম হেডস্যার ইচ্ছে করে কেটে দিয়েছেন। আমরা স্যারের সঙ্গে ষোলবার দেখা করেছি। কথা বলেছি। স্যারের থেকে কোনও উত্তর পাইনি। প্রথমে বলা হল, আমাদের অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল আছে। পরে বলা হল রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আমরা কোথায় যাব! বাধ্য হয়েই আমরা এই রাস্তা বেছে নিয়েছি।”

শুক্রবার, স্কুলের গেটে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখায় ওই পড়ুয়ারা। প্রায় চারঘণ্টা স্কুলেই আটকে থাকেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর সামনেই পড়ুয়ারা প্রশ্ন তুলে বলে, “আমরা কেন রাজনৈতিক নেতার কাছে যাব? আজ আপনি ট্যাবের টাকা দিয়ে তবেই যাবেন।” যদিও, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি স্কুলের ১২৬ জন পড়ুয়ার জন্যই দরখাস্ত দিয়েছেন। সেই তালিকাও পাঠানো হয়েছে। তাঁর কাছে সমস্ত হিসেব ও তালিকা রয়েছে। টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য কয়েকজন টাকা পায়নি। যারা পায়নি, তারা যাতে টাকা পায় তার চেষ্টাও করা হচ্ছে। পড়ুয়াদের বিক্ষোভ রুখতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় সিউড়ি থানার পুলিশ। পরে পুলিশি তত্ত্বাবধানে বিক্ষোভ উঠে যায়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours