বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। এটাই ভাবাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে। ১৭ এপ্রিল থেকে ১৬ মে, এই এক মাসে দার্জিলিং জেলাতেই কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৮৫ জনের। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তারা। প্রতিদিনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অক্সিজেনের ঘাটতিতেই মৃত্যু হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও অক্সিজেনের হাহাকার এখনও শোনা যায়নি। গ্রাফ নামানোর পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যা কমানোই এখন চ্যালেঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তারা ঘন ঘন বৈঠকও করছেন।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বাড়তি ২৫জন চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসকের অনুমতি পেলেও চিকিৎসক মিলছে না বলে জানা গিয়েছে। তবুও বর্তমানে যা প্রস্তুতি রয়েছে, তা দিয়েই সেরাটা উজাড় করে দিতে বদ্ধপরিকর স্বাস্থ্য কর্তারা। এদিকে শিলিগুড়ি পুর এলাকায় গ্রাফ বাড়ায় উদ্বিগ্ন পুর প্রশাসক মণ্ডলীও। মঙ্গলবার জরুরী বৈঠকে বসেন পুর প্রশাসক গৌতম দেব। জেলা স্বাস্থ্য দফতর, মহকুমা শাসক, বেঙ্গল কেমিস্ট এণ্ড ড্রাগিস্ট সহ পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেও উন্নততর কোভিড চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। ২০ বেডের এইচ ডি ইউ বেড চালু করা হচ্ছে। তার মধ্যে ৫টি ভেন্টিলেটর এবং ১টিতে ট্রান্সপোর্ট ভেন্টিলেটরের সুবিধে থাকবে। জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যের সবুজ সংকেত মিললেই কাজ শুরু করা হবে।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেলেও অক্সিজেন প্লান্টের পাইপ লাইন বাড়ানোর কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা দেখার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। ওই ফোর্সই যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সরকারী নির্দেশিকা মানতে হবে সব বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই। কড়া বার্তা দিয়েছে পুর প্রশাসক। এদিকে তিনি এও জানান, কোভিড চিকিৎসায় ওষুধের কোনও খামতি নেই শহরে। কিছু ক্ষেত্রে ব্র‍্যাণ্ডের সমস্যা হলে জেনেরিক নাম পেলেই তা মিটে যাবে। পাশাপাশি অক্সিজেনের যাতে কোনোমতেই ঘাটতি না হয় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।  সব মিলিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় শিলিগুড়িও তৈরী হচ্ছে।  কারণ ইতিমধ্যেই একাধিক সেফ হোম কাজ করা শুরু করেছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours