সামান্য হলেও গত কালের তুলনায় আজ দেশে করোনা-আক্রান্তের হার কমেছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আজ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৮৪ জন। গত কালের তুলনায় যে হার ০.৪ শতাংশ কম। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫২০ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৭১৯। মন্ত্রক বলেছেন, ‘‘সংক্রমণের নিম্নগতি থেকে এটাই প্রমাণিত যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানা হচ্ছে।’’
দিল্লির পাশাপাশি হরিয়ানাতেও বাড়ছে  আক্রান্তের সংখ্যা। গত দু’দিন যাবৎ দৈনিক আক্রান্ত পেরিয়ে যাচ্ছে আড়াই হাজার। হিমাচল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতের মতো উত্তরের রাজ্যগুলিতে  শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব ধীরে হলেও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে আক্রান্ত।কোটি টাকার বকেয়া বিল না মেটাতে পারায় মহারাষ্ট্রে হাসপাতালগুলিতে ওষুধ, পিপিই, মাস্কের মতো চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করে এমন ১০০টির বেশি সংস্থা সরবরাহ বন্ধ করেছে। রাজ্যটিতে বর্তমানে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ করোনার শিকার। তার উপরে জানুয়ারিতে নতুন করে সংক্রমণের ধাক্কার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। এই অবস্থা সত্ত্বেও সোমবার থেকে ধর্মীয় স্থানগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। বাকি রাজ্যগুলির মতো মার্চ থেকে মহারাষ্ট্রেও বন্ধ ছিল সব ধর্মীয় স্থান। যার বিরোধিতা করে প্রচার চালাচ্ছিল বিরোধী বিজেপি।গত সপ্তাহেই ধর্মস্থানগুলি খোলার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দীপাবলির পরে স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত খুলে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, ধর্মস্থানে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এই নিয়মের অন্যথা হলে জরিমানা হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এ দিকে, জুন মাসের পর থেকে প্রথম বার তামিলনাড়ুতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের নীচে নামল। যার ফলে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১৮ হাজারের নীচে নেমেছে। আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক চেন্নাইয়ে। নবম শ্রেণির উপরে পড়ুয়াদের জন্য ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েও পিছিয়ে এসেছে  সরকার। গবেষণা করছেন এমন পড়ুয়া ও স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের জন্য ২ ডিসেম্বর থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।কর্নাটক সরকার আবার ঘোষণা করেছে, আন্তর্জাতিক উড়ানের যাত্রীরা বেঙ্গালুরুতে নামার পরে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট না দেখাতে পারলে তাঁদের ২ সপ্তাহ নিভৃতবাসে থাকতে হবে। এবং সেই কোভিড পরীক্ষাটিও বিমানে চড়ার ৭২ ঘণ্টার বেশি আগে করলে চলবে না। যাঁদের কাছে সেই সার্টিফিকেট থাকবে না তাঁদের বিমানবন্দরে কোভিড পরীক্ষা করতে হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে গৃহ নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours