এই ঘটনায় স্কুলে গিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সাংবাদিকদের পথ আগলে দাঁড়ান এক কর্মী। তিনি সাংবাদিকদের প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে দেননি



অভিজাত বেসরকারি স্কুলে এবার ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। অসুস্থ ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ির একটি অভিজাত স্কুলে ছাত্রীকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ। প্রায় দু’ঘন্টা ধরে লাগাতার হেনস্থায় অসুস্থ ছাত্রী। পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। পরে ফোন করে পুলিশের সাহায্য চান ছাত্রীর দিদি। খবর পেয়ে স্কুলে যায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ছাত্রীকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় ছাত্রীকে। সেখানেই এখন চিকিৎসাধীন ছাত্রী। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। ঘটনায় মুখে কুলুপ স্কুল কর্তৃপক্ষের।



জলপাইগুড়ির স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল গিয়েছিল। সেখানে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করার জন্য স্কুল থেকে ফোন করে ডাকা হয়। ফোন পেয়ে দিদির সঙ্গে স্কুলে যায় ছাত্রী। অভিযোগ অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ হয়ে গেলে স্কুলের এক লেভেল কো অর্ডিনেটর তাকে একটি ঘরে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু ছাত্রী একা যেতে না চাওয়ায় তার দিদিকে ডাকে। কিন্তু দিদিকে ঘরে নিয়ে যেতে চায় না ওই লেভেল কো অর্ডিনেটর। এরপর তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

আরও অভিযোগ, এরপর ছাত্রীর ঘাড়ে আঘাত করেন স্কুলের ওই কো অর্ডিনেটর। আর তখন ছাত্রীর বমি শুরু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রী। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে এই অবস্থা। ছাত্রীর দিদি বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করতে থাকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার জন্য। কিন্তু তারা অ্যাম্বুলেন্স না ডাকলে এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে অসুস্থ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরাও স্কুলে যায়। শুরু হয় কথা কাটাকাটি । সেসময় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours