ওটস, দই, শাক-সবজি এসবই বেশি পরিমাণে খেতে হবে

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা । শীতকালে শরীর এমনিতেই কষে যায়। এর মূল কারণ হল ঠাণ্ডার জন্য অনেকে জল কম খান। চা আর কফি প্রয়োেজনের তুলনায় অনেকটা বেশি খাওয়া হয়। এছাড়াও শীতে ভালো-মন্দ খাওয়াটা বেশি হয়। অতিরিক্ত ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার, পকোড়া, ফ্রাই খাবার দিকে ঝোঁক বেশি থাকে। গরম ধোঁওয়া ওঠা কফির সঙ্গে চিকেন পকোড়া অনেকেরই প্রথম পছন্দ। আর ভুলটা হয় এখানেই। অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার খেলে সব ঠিকমতো হজম হয় না। তখনই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলসের সমস্যা থাকে তাঁরাও যেমন ভোগেন তেমনই সাধারণ মানুষও ভোগেন। এমনিতেই বাঙালি বরাবরের পেট রোগা। আর তাই তাকে একটু সামলে চলতে হয়।


কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে খুবই কষ্ট হয়। পেট ফুলে থাকে, ফেঁপে থাকে। খিদে যেমন পায় না তেমনই কোনও খাবারই হজম হয় না। শরীরে একটা অস্বস্তি লেগেই থাকে। আর তাই শীতে বুঝে শুনে খেতে হবে। সেই সঙ্গে যদি শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া যায় তাহলে আর হজমের কোনও রকম সমস্যা থাকে না। তাই যে খাবার রোজ নিয়ম করে খাবেন তা হল-

ইষদুষ্ণ জল- রোজ রাতে ঘুমোতে যাীওয়ার আগে এক গ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান। কিংবা ঘুম থেকে উঠে যদি নিয়ম করে অন্তত ২ গ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান তাহলে শরীর থাকবে চাঙ্গা। পেটও পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই জলের সঙ্গে একটু পাতিলেবুর রস আর মধু মিশিয়ে নিতে পারলে তো কথাই নেই।

চিয়া সিডস- এই বীজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তাই রোজ সকালে একগ্লাস চিয়া বীজের জল খেতে পারেন। এছাড়াও একটা বোতলে চিয়া সিডস আর শসার স্লাইস করে ভিজিয়ে রাখুন। এই জল শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। এতে যেমন হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে তেমনই অন্যান্য অনেক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।

পেঁপে– পেট ভাল রাখতে পেঁপের জুড়ি মেলা ভার। আর তাই রোজ নিয়ম করে একবাটি পাকা পেঁপে অবশ্যই খান। ব্রেকফাস্টে এক বাটি করে পাকা পেঁপে রোজ খেলে ব্লাড সুগারও থাকে নিয়ন্ত্রণে। পেঁপের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন। যা শরীর ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।

ওটস- ওটস খাওয়া অভ্যাস করুন। ওটসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা একেবারেই আসবে না। দই বা দুধ দিয়ে ওটস খেতে পারেন। সঙ্গে মিশিয়ে নিন নানা রকম ফল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours