কম বৃষ্টির কারণে সবথেকে বেশি ভুগতে হয়েছে কৃষকদের। এটা আমন ধান বপণের সময়। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে অধিকাংশ জায়গায় তা সম্ভব হয়নি।

ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি বঙ্গোপসাগরে। রবিবার অর্থাৎ ৭ অগস্ট বঙ্গোপসাগরে ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে চলেছে। পরে আরও শক্তি বাড়িয়ে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। ইতিমধ্যেই উপকূলের জেলাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ। সকাল সকাল কয়েক পশলা বৃষ্টিও ভিজিয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সারাদিনই এমনটা চলবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর আভাস দিয়েছে।

রবিবার বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ শক্তি বাড়ালে বৃষ্টির তেজও বাড়বে। উত্তাল থাকবে সমুদ্র। তাই ৮ অগস্ট থেকে ১১ অগস্ট পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ৯ অগস্ট উপকূলের দুই জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। ১০ অগস্ট কলকাতা-সহ আট জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিম্নচাপ শক্তি বাড়ালেও বড়সড় দুর্যোগের আশঙ্কা এখনও নেই। বরং বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টিরই মুখ দেখতে চলেছেন বাংলার কৃষকরা বলেই মনে করা হচ্ছে।

চলতি বছর দক্ষিণবঙ্গে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। তারপরও যে খুব ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, এমনটা একেবারেই নয়। বরং মাঝে মধ্যে হালকা বা ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি গরম বাড়িয়েছে। আর্দ্রতার কারণে একটা অস্বস্তি থেকেই গিয়েছে ভরা আষাঢ়-শ্রাবণেও।

কম বৃষ্টির কারণে সবথেকে বেশি ভুগতে হয়েছে কৃষকদের। এটা আমন ধান বপণের সময়। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে অধিকাংশ জায়গায় তা সম্ভব হয়নি। অন্তত ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ জমিতে এখনও ধানের বীজই বসানো যায়নি। এই অবস্থায় নিম্নচাপের কারণে যদি বাংলা কিছুটা ভারী বৃষ্টির মুখ দেখে তাতে দুশ্চিন্তা সামান্য হলেও লাঘব হতে পারে অন্নদাতাদের।

শনিবারের পাশাপাশি রবিবার বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়। এই সব জেলার বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours