কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন খারিজের পর এবার পুরভোটে বাহিনীর আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ BJP। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে BJP। একইসঙ্গে শনিবারই এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করবে গেরুয়া শিবির। শুক্রবার দিনভর প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে শুনানি চলার পর BJP-র আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আগেই পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, বলে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে।এদিন রাজ্যের পুলিশকে দিয়েই ভোট করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্টের নির্দেশ, বিধানসভার ভোট পরবর্তী হিংসায় ভোটারদের যে মনোবল ভেঙে গিয়েছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বা রাজ্য সরকারের পরামর্শ নিয়ে ভোটারদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে হবে। স্পর্শ কাতর ও অতি স্পর্শকাতর এলাকায় চিহ্নিত করে পরিকল্পনা মাফিক রুট মার্চ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, নির্বাচন চলাকালীন যদি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তার জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে ডিজি ও সিপি। এছাড়া গত ১৪ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট প্রতিটি বুথে এবং গণনা কেন্দ্রে সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার ১৪৪ টি ওয়ার্ডে ভোট। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার গত ভোটের চেয়ে এ বার সামান্য কিছু বেশি বাহিনী রাজ্য দেবে। সংখ্যাটা ২৩ হাজারের কিছু বেশি। ১৪৪টি ওয়ার্ডের ১৬৭০টি ভবনে বুথ তৈরি হবে ৪ হাজার ৯৫৯টি। প্রতি ভবনে অন্তত ২ জন করে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। ভবনের মধ্যে থাকা বুথে ভোটারদের লাইন নিয়ন্ত্রণের জন্য লাঠিধারী পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ার ভোটের কাজে থাকবে না।


ভোটের নিরাপত্তায় কলকাতা পুলিশ যে নকশা তৈরি করে কমিশনকে দিয়েছে তাতে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, ৭২টি থানা এলাকায় এই ভোটগ্রহণ হবে। থানাগুলি ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করবে। এর বাইরে এই ভোটের জন্য কমিশন ২৮৬টি সেক্টর অফিস তৈরি করেছে সেখানে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী থাকবে। পাশাপাশি প্রতিটি বোরোতে অন্তত ৪টি করে ৭২ টি পুলিশের রেডিয়ো ট্রান্সমিশন মোবাইল দল রাখা হবে। থাকছে ৩৫টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ৭৮টি কুইক রেসপন্স টিম এবং ৮০টি স্ট্রাইকিং ফোর্সও কাজ করবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours